বরিশালের বিপক্ষে ফাইনালে কুমিল্লা

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিপিএলের ফাইনালে উঠল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারায় ইমরুল কায়েসের দল। এর আগে বরিশালের কাছে হেরে ফাইনাল অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল কুমিল্লার। তবে বুধবারের জয়ে সে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। চট্টগ্রামের বিপক্ষে এদিন ৭ উইকেটের জয় পায় ইমরুলরা।

 

এর আগে টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সাকিব আল হাসানের বরিশাল। এবার দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে উঠল কুমিল্লা। আগামী শুক্রবার বিপিএলের ফাইনালে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও ফরচুন বরিশাল।

 

বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ১০ উইকেটে ১৪৮ রান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রান তাড়া করতে নেমে শেরেবাংলায় রীতিমতো ঝড় তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। যার শুরুটা করেন সুনিল নারাইন। ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। যেটা বিপিএলের সবচেয়ে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। মোট ১৬ বল খেলে ৫ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৭ রানের ইনিংস উপহার দেন নারাইন।

 

নারাইন ফিরলে শেষ দিকে মঈন আলী ও ডু প্লেসির ঝড়ে মাত্র ১২.৫ ওভারেই জয়ের নাগাল পেয়ে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

 

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উইল জ্যাকস ও জাকির হাসানে উড়ন্ত শুরু করে চট্টগ্রাম। তবে এই ছন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। চতুর্থ ওভারেই জ্যাকসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম। ৯ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন জ্যাকস।

 

আগের ম্যাচে ঝড় তোলা চ্যাডউইক ওয়ালটন আজ সুবিধা করতে পারেননি। উইকেটে আসা মাত্রই তাকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মঈন আলী। নিজের পরের ওভারে জাকির হাসানকেও থামান মঈন। ইংলিশ তারকার বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন চট্টগ্রামের ওপেনার। ৪ বাউন্ডারিতে ১৯ বলে ২০ রান করেন তিনি।

 

তিন টপ অর্ডারকে হারানোর পর আরও হতাশা দেখে চট্টগ্রাম। একে একে হারায় অধিনায়ক আফিফ হোসেন ও শামীম হোসেনের উইকেট। দলীয় ৫০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় চট্টগ্রাম।

 

বিপদে পড়া চট্টগ্রামকে বাঁচাতে হাল ধরেন আকবর আলী ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিং বিপর্যয়ের চাপ সামলে দুজনে নির্ভার হয়ে খেলেন। এই জুটিতে লড়াই জমিয়ে তোলে চট্টগ্রাম। অবশেষে ১৫তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন আবু হায়দার। থিতু হয়ে যাওয়া আকবরকে ফিরিয়ে ৬১ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। ২০ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন আকবর।

 

এরপর শেষ দিকে মিরাজ-মৃত্যুঞ্জয় মিলে চট্টগ্রামকে ১৪৮ রানের পুঁজি এনে দেন চট্টগ্রামকে। ব্যাট হাতে ৩৮ বলে ৪৪ রান করেন মিরাজ। আর মৃত্যুঞ্জয় করেন ১৫ রান।

 

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের পক্ষে বল হাতে ১৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২০ রান খরচায় মঈন আলী নেন তিন উইকেট। আর শহিদুলের শিকারও সমান তিনটি।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

 

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স :

১৯.১ ওভারে ১৪৮/১০ (জাকির ২০, জ্যাকস ১৬, ওয়ালটন ২, আফিফ ১০, শামীম ০, মিরাজ ৪৪, আকবর ৩৩, হাওয়েল ৩, মৃত্যুঞ্জয় ১৫, নাসুম ০, শরিফুল ০ ; মঈন ৩-১-২০-৩,  মুস্তাফিজ ৩.১-০-১৩-১, শহীদুল ৩-০-৩৩-৩, নারাইন ৪-০-২৪-০, আবু হায়দার ২-০-২১-১, তানভীর ৪-০-৩৩-১)।

 

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস :

১২.৫ ওভারে ১৪৯/৩  (নারাইন ৫৭, লিটন ০, ইমরুল ২২, ডু প্লেসি ৩০, মঈন আলী ৩০ ; নাসুম ৪-০-৩০-০, মৃত্যুঞ্জয় ২-০-৩২-১, আফিফ ২-০-১৬-০, মিরাজ ১-০-২৩-০, শরিফুল ১.৫-০-৩১-১)।

 

ফল : সাত উইকেটে জয়ী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।


মন্তব্য
জেলার খবর