৩ বছর বয়সে সংগীতে হাতেখড়ি বাপ্পি লাহিড়ীর

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সবাইকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী। তিনি ছিলেন একাধারে সুরকার, গীতীকার সংগীত পরিচালক ও গায়ক। বয়স যখন তার মাত্র ৩, তখন তিনি সঙ্গীত জীবনে পা রাখেন। সে বয়সেই মঞ্চে তবলা বাজাতে শুরু করে ছোট্ট অলোকেশ লাহিড়ী। সেই ছোট ছেলেটাই একদিন হয়ে উঠে ভারতের ‘ভারতের ডিস্কো কিং’। যাকে সবাই এক ডাকে চেনেন ‘বাপ্পি লাহিড়ী’ নামে।

 

১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপ্পি লাহিড়ীর। ছোট থেকেই সুরের জগতের মানুষ ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী, তার বাবা অপরেশ লাহিড়ী ছিলেন বাংলা সংগীতের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক। মা বাঁশরী লাহিড়ী ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী।

 

বাপ্পি লাহিড়ী শুধু একজন সংগীত পরিচালকই ছিলেন না, প্লে-ব্যাকও করেছেন সমানতালে। পিতা-মাতার সান্নিধ্যেই তার সংগীতে হাতে খড়ি। ১৯ বছর বয়সে দাদু (১৯৭২) নামক বাংলা চলচ্চিত্রে প্রথম কাজ করেন তিনি। তার স্বপ্ন ছিল মামার কিশোর কুমার মতো বলিউডে রাজ করবেন। বলিউডে তার প্রথম কাজ ছিল ‘নানহা শিকারি’ (১৯৭৩), এ ছবির গীতিকারের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর পরিচালক তাহির হুসনের ‘জখমি’ ছবিতে গান লেখার পাশাপাশি গেয়েওছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী।

 

আশির দশকের বলিউডে উল্কা গতিতে বাপ্পি লাহিড়ীর উত্থান। পরপর হিন্দি ছবিতে কম্পোজ করা সুর থেকে তার গানে বুঁদ হয়েছিল আসমুদ্রহিমাচল। মিঠুন চক্রবর্তীর ‘ডিস্কো ডান্সার’ ছবির মিউজিক কম্পোজ করে রাতারাতি সুপারস্টারে পরিণত হয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। তার জনপ্রিয়তা ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিদেশে। এরপর থেকেই ডিস্কো কিং' নামে পরিচিতি লাভ করেন এই বাঙালি গায়ক।

 

আরআই


মন্তব্য
জেলার খবর