২০১৬ থেকে ২০২১, বছর পার হয়েছে ৫টি। মাঝে কিছুটা বাড়লেও ২০১৬’র তুলনায় ২০২১ সালে এসে কমেওনি, বাড়েওনি। সেই একই অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে দেশের দারিদ্র্যের হার- ২৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক (ডিজি) ড. বিনায়ক সেন। এক্সট্রিম পোভার্টি: দ্য চ্যালেঞ্জেস অব ইনক্লুশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠান দারিদ্র্যের হার নিয়ে কথা বলেন মি.সেন। প্রতিবেদনটি বিআইডিএসরই।
শেরেবাংলা নগরস্থ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান হয়, সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম। উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও হোসেন জিল্লুর রহমান প্রমূখ।
বিনায়ক সেন বলেন, ২০১৬ সালে দারিদ্র্যের হার কমেছিল। কিন্তু করোনাকালে এটা বেড়েছিল। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ধরে গবেষণা চালিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- এ জনসংখ্যার মধ্যে এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ অতি দরিদ্র। দারিদ্র্যের দিক থেকে পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলো উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে।সবচেয়ে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর বসবাস উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামে, ৫৪ শতাংশ মানুষ অতিদরিদ্র সেখানে। আর চরম দারিদ্র্যের মধ্যে আছে ৫৩ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ, ভূমিহীন ৬০ শতাংশ। পক্ষান্তরে নারায়ণগঞ্জ জেলায় অতি দারিদ্র্যের হার শূন্য।
এমকে