হিমশিম খাচ্ছেন ভোক্তারা

০২ অক্টোবর ২০২১

কেজি ৫০ টাকার ওপরে বেশিরভাগ সবজির দাম।সবচেয়ে কম দামের চাল কিনতেও লাগছে ৫০ টাকা। আর চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, ময়দাসহ অন্তত এক ডজন পণ্য।এতে তিন বেলার আহারের ব্যবস্থা করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের, বিশেষত সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের।

আলু, কচুমুখী ও পেঁপের কেজির দর ৫০ টাকার নিচে হলেও কাঁচামরিচ এক কেজি কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে দুইশ’ টাকা, বাজার ভেদে কোথাও কোথাও তারও বেশি-২২০ টাকা। চিকন ও মাঝারি চালের দামও ৭০ ছুঁই ছুঁই।

ক্রেতাদের ভাষ্য, আয় বাড়েনি, বরং করোনার কারণে আগের চেয়ে এখন কমেছে। কিন্ত ঠিকই বেড়েছে ব্যয়। নিত্যপণ্যের চড়া দামের সঙ্গে টাকা খরচ হচ্ছে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারেও।করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে এসব ব্যবহার করতে হচ্ছে।

তথ্যানুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে চিকন ও মাঝারি চালে দাম বেড়েছে এক-দুই টাকা।৬৫ টাকার চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ টাকা । ৭ টাকার বেশি বেড়েছে খোলা ময়দার দাম। ৩৫ টাকার ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়। দুই মাসের বেশি সময় ধরে বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ১১০ টাকা কেজির এ মাংস এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। ৪০ টাকার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা দরে। ৪২ টাকার আমদানির পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৫-৭ টাকা বেশি দরে।দাম বেড়ে ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। আর কেজি ৫৮০-৬০০ টাকায় গরুর মাংস ও ৮০০ টাকায় খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে।

হিসাব ও প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে খোলা ময়দার দাম বেড়েছে ১৬ শতাংশ। আমদানি ও দেশি পেঁয়াজের দামে বেড়েছে ৫-১০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকার মতো।

শুক্রবার প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৫০ টাকা, করলা ৫০-৭০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মুলা ৬০-৭০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, গাজর (চায়না) ১৬০ টাকা, শসা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মাঝারি সাইজের এক পিস বাঁধাকপি ৬০ টাকা, ছোট আকারের ফুলকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর আলু ২০ টাকা ও পেঁপে ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় যোগান কমের কারণেই দাম বাড়ছে সবজির- মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, মৌসুম পুরোপরি শুরু হলে যোগান স্বাভাবিক হবে, তখন দাম কমতে পারে।

এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর