করোনার তাণ্ডব চলাকালে চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ের আগেও বেশ ভালোই ছিল রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি, দেশে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কিন্তু জুলাইয়ের পর থেকেই আগের তুলনায় কম আসতে শুরু করে এ বৈদেশিক আয়। ব্যাংক ব্যবস্থায় তিন মাস ধরে রেমিট্যান্স কম আসার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণকে দূষছেন অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা। বলছেন, দেশে আগের মতোই রেমিট্যান্স আসছে। বেশ কয়েকটি কারণে গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ তার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছিল। আর কয়েকটি কারণে গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে কমেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের সামান্য কিছু বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, আগের অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছরের পুরোটা সময় রেমিট্যান্স বেশি আসলেও এবার এসেছে তার চেয়ে কম। গত অর্থবছরে ৫ জুলাই-৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসেছিল ৬৭১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, এ বছরে এসেছে ৫৪০ কোটি ৮০ লাখ ডলার।সে হিসাবে কম এসেছে ১৩০ কোটি ডলার। গেল সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে তার আগের সেপ্টেম্বরের চেয়ে ৪২ কোটি ডলার কম। গেল সেপ্টেম্বর এসেছিল ১৭২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। তার আগের সেপ্টেম্বরে এসেছিল ২১৫ কোটি ডলার। গেল জুনের চেয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার কম এসেছে জুলাইয়ে। জুলাইয়ে এসেছে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার।গত অর্থবছরের জুলাইয়ে এসেছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার। গত আগস্টে এসেছে ১৮১ কোটি ডলার, তার আগের আগস্টে এসেছিল ১৯৬ কোটি ডলার।
রেমিট্যান্স প্রবাহ সম্পর্কে অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছিল।বাকি কারণ হিসেবে করোনায় চাকরি হারিয়ে যাবতীয় সঞ্চয় নিয়ে অনেকের দেশে ফেরা, দীর্ঘদিন উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধের কারণে থাকায় হুন্ডি বন্ধ থাকা ও প্রণোদনা দেয়ায় হুন্ডি ছেড়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর কথা বলছেন। পক্ষান্তরে দেশে ফেরা প্রবাসীদের পূনরায় বিদেশে যেতে না পারা, করোনার কারণে বিদেশে যাওয়া হ্রাস পাওযা ও উড়োজাহাজ চলতে শুরু হওয়ায় হুন্ডি বেড়ে যাওয়ায় রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার কথা বলছেন তারা।
এমকে