আজ সোমবার (৪ অক্টোবর) থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত (২২ দিন) সাগরসহ নির্দিষ্ট জেলার নদ-নদীতে ইলিশসহ কোনো মাছই ধরা যাবে না। শুধু ইলিশ ধরা যাবে আরো কয়েকটি জেলার নদ-নদীতে।সারাদেশে করা যাবে না ইলিশ পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময়। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আগেই, ২৬ সেপ্টেম্বর। নিষেধাজ্ঞা না মানলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে, কমপক্ষে ১ ও সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ইলিশ ধরা নিষিদ্ধকালে উপকূলীয়সহ সংশ্লিষ্ট ১৫১টি উপজেলার ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪৪টি জেলে পরিবারের প্রতিটির মাঝে ২০ কেজি হারে চাল বিতরণ করবে সরকার।

নিষিদ্ধকালে জেলেরা যেন কোনোভাবেই ইলিশ মাছ ধরতে না পারে, সেজন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে।জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় মৎস্য দফতর, পুলিশ, র‌্যাব, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সমন্বিতভাবে এ অভিযান পরিচালনা করবে। ইলিশ ধরায় জড়িতদের শাস্তি দিতে পরিচালিত হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেও টহল জোরদার থাকবে।  সংশ্লিষ্ট নদীতে ভাসমান ফাঁড়ি পরিচালনা করবে। সার্বক্ষণিক একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু থাকবে। ভারতীয় জেলেরা যাতে বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ ধরতে না পারে, সেজন্য ভারতীয় কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনা করবে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ।  বরফকল বন্ধ রাখায় ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচারণামূলক কার্যক্রম চলবে।

জানা গেছে, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বাগেরহাট জেলার সব নদ-নদী, মোহনা ও সাগরে ইলিশসহ কোনো মাছই ধরা যাবে না। আর নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, জামালপুর, রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, কুষ্টিয়া ও নড়াইল জেলার নদ-নদীতে শুধু ইলিশ মাছ ধরা যাবে না।

এমকে