যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি একসঙ্গে ১২ মাসের বকেয়া থাকলেই সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বাতিল করা যাবে। পৌরসভার মেয়র কোনো অজুহাতেই পাঁচ বছরের বেশি সময় দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। নির্বাচন সংক্রান্ত জটিলতা থাকলে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে, প্রশাসক নিয়োগের ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।এমন বিধান রেখে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা)(সংশোধন) আইন- ২০২১’র খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়, বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ও মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে অংশ নেন।বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০০৯ সালের পৌরসভা আইনে নির্বাচিত পৌরসভার (পৌর পরিষদের) সময়সীমা ছিল পাঁচ বছর। কিন্তু কোনা কারণে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ওই মেয়র কন্টিনিউ করার একটা বিধান ছিল। এতে দেখা গেছে, পাঁচ বছরের পরে বিভিন্ন ইস্যুতে অনেক পৌরসভা মেয়র মামলা-মোকাদ্দমা করে ১২-১৬ বছর পর্যন্ত মেয়রের দায়িত্বে থেকে যাচ্ছেন। আইনে কোনো কিছু ক্লিয়ার না থাকায় এ বিষয়ে কিছু করাও যাচ্ছিল না। তিনি জানান, পৌরসভার মেয়াদ ৫ বছর শেষে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনো কর্মকর্তা বা সরকার যদি কোনো ব্যক্তিকে যোগ্য মনে করেন- ছয় মাসের জন্য প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবেন। আগে পৌরসভায় প্রতি কিলোমিটারে দেড় হাজার লোক থাকার শর্ত থাকলে সেটা দুই হাজার করে দেয়া হয়েছে চুড়ান্ত খসড়ায়। এতে ট্যাক্স কালেকশনটা বাড়বে, কাজকর্ম বেশি হবে। পৌরসভায় সচিব পদে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ‘পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা’ হিসেবে পরিচিত হবেন বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এমকে