বাজারে খুচরা পর্যায়ে বেড়েই চলেছে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রান্নার অন্যতম উপকরণ পেঁয়াজ আর কাঁচামরিচের দর। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি।গরিবের মাংস ব্রয়লারের কেজিও পৌনে দুই শ’ টাকা। এক কেজি মোটা চাল কিনতে লাগছে নূন্যতম ৫০ টাকা, খোলা ময়দায় ৪২ টাকা।রাজধানী ঢাকার শুক্রবারের বাজার দর থেকে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।এদিকে এসব নিত্যপণ্য আগের চেয়ে বাড়দি দামে কিনতে নাভিশ্বাস ওঠছে ভোক্তাদের, বিশেষ করে নিম্ন ও সীমিত আয়ের ভোক্তাদের। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্রেতারা বলছেন, এসব পণ্যের বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। চাহিদার চেয়ে যোগান কম- এ কারণেই বাড়ছে দাম, দাবি ব্যবসায়ীদের।
তথ্যানুযায়ী, কয়েকদিনের ব্যবধানে ৪০ টাকার পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে, ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরের ব্রয়লার মুরগি।এক কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাজার ভেদে ২০০-২২০ টাকা, কোথাও কোথাও তারও বেশি। চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। দেশি রসুন ছোট সাইজ ৬০ টাকা হলেও বড় সাইজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে দেড়শ’ টাকা কেজি। ৬৫ টাকার চাল বিক্রি হয়েছে ৬৬ টাকা কেজি দরে। প্রতি ডজন ডিম লেয়ার ১১০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৫০-১৬০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আগাম শীতকালীন সবজিও দাম আকাশ ছোঁয়া।আলু, কচুমুখী ও পেঁপের ছাড়া বেশিরভাগ সবজির কেজি ৫০ টাকার ওপরে। এক কেজি মানভেদে গাজর ১০০-১৬০ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা,শিম ৮০-১০০ টাকা, মুলা ৫০-৭০ টাকা,করলা ৬০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০-৬০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা। এছাড়া ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস ৩০-৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ -৩৫ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০-২০ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১৫-২০ টাকা, কলমি শাকের আঁটি ৫-১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাদা ও লাল আলুর কেজি ২৫ টাকা। লেবুর হালি ২০ টাকা, মাঝারি সাইজের লাউ ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ২৫ টাকা পিস।
এমকে