দীর্ঘদিন ধরেই বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে নিত্যপণ্যের দরে। তুলনায় গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে দাম বেড়েছে ১৩ ধরনের পণ্যের। দাম বৃদ্ধির তালিকায় উল্লেখযোগ হচ্ছে- আটা, ময়দা, চিনি, ডিম, সয়াবিন তেল ও জিরার নাম। বেশি বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, এক লাফে ২৫ টাকা। খুব একটা কমেনি সবজির দামও। দরের এ অস্থিরতায় সাধারণ মানুষকে ভাবতে হচ্ছে- সামনের দিনে সংসার খরচ চলবে কী করে। কারণ ব্যয় আগের জায়গা থেকে সামনে এগোলেও আয় আছে আগের জায়গাতেই।
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, বাজার দর সহনীয় রাখতে চেষ্টা করছে সরকার। জেলায় জেলায় বাজার মনিটরিংয়ের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশি দাম নিলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রংপুরে এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। ক্রেতাদের একটা অংশের ভাষ্য, রমজান মাসের আগে প্রতি বছরই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, এবারও তেমনটি ঘটছে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কয়েকটি বাজারের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, খুচরায় কেজিতে ২ থেকে চার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আটা, ময়দা, চিনি, ডিম, সয়াবিন তেল ও জিরার দাম। এক সপ্তাহ আগে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকায়। চালের মধ্যে মোটাটা ৫২, খোলা চিনিগুঁড়া ৯০-১০০, মিনিকেট ৬০ ও নাজিরশাইল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সয়াবিনের ক্ষেত্রে খোলাটা ১৬৫-১৬৭, বোতলজাতের এক লিটার ১৭০ আর ৫ লিটার ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডালের মধ্যে মুগ ১২৫, বুট ৮০, অ্যাংকর ৪৫, মসুর ১১৫ টাকা ও ছোলা ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
কাঁচাবাজারে এখনও খুচরায় কেজিপ্রতি পাকা টমেটো ৪০-৫০, শিম ৬০-৭০ ও শালগম (ওল কপি) ৩০-৪০, বেগুন ৫০-৭০, গাজর ২০-৩০, কাঁচা পেঁপে ৫০, শসা ৩৫, কাঁচামরিচ ৬০, রসুন ১১০-১২০, গোল আলু ২০, দেশি আদা ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকার ভেদে প্রতি পিস লাউ ৫০-৬০, ছোট ফুলকপি ৪০ ও বড় ফুলকপি ৫০-৬০ টাকায় কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। শাকের আঁটি লাল ১০-১৫ টাকা ও পালং ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগিরও, কেজি প্রতি ২০ টাকা। মুরগির মধ্যে ব্রয়লার ১৭০, লাল লেয়ার ২৬৫-২৭০ ও সোনালি ২৮০-২৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি। মুরগির পাশাপাশি বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দামও। ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস, হাজার টাকায় খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হয়েছে।
এমকে