ক্রেতাদের সঙ্গে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের ঠকবাজি প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে বিষয়টি দেখভালের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যেই অন্তত ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ(সিআইডি)। আর এর মধ্যে ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে রাখা হয়েছে কঠোর নজরদারিতে। তালিকা তৈরি ও নজরদারিতে রাখার বিষয়টি জানিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (সিআইডি)ইমাম হোসেন।পেমেন্টসহ অর্ডার দিয়ে দিনের পর দিন পণ্য না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা ।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ৬ জনকে গ্রেফতারের পরে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে সিআইডি।রাজধানী ঢাকার মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন পুলিশের চৌকস কর্মকর্তা ইমাম হোসেন। তবে তালিকাভুক্ত এসব প্রতিষ্ঠানের নাম জানানো হয়নি সংবাদ সম্মেলনে।
এডিআইজি ইমাম হোসেনের কথায়- তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেয়া এবং টাকা ফেরত না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।বিতর্কিত এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, সেটা পরবর্তীতে হিসাব করে জানানো হবে বলেও জানান পুলিশের এ মেধাবী কর্মকর্তা।
গ্রেফতার ৬ জন প্রসঙ্গে এডিআইজি ইমাম হোসেন বলছিলেন, গ্রাহকের আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা 'থলে ডটকম ও উইকুম ডটকম' নামের ই-কমার্সের দুটি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরে রোববার রাতে রাজধানীর মাটিকাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- নজরুল ইসলাম, সোহেল হোসেন, তারেক মাহমুদ অনিক, সাজ্জাদ হোসেন পিয়াস, মুন্না পারভেজ ও সুপারভাইজার মাসুম হাসান। পেমেন্টসহ অর্ডার দিয়েও পণ্য না পেয়ে খায়রুল আলম মীর নামের এক গ্রাহক মামলাটি করেন।
গ্রেফতারদের প্রসঙ্গে এডিআইজি ইমাম হোসেন আরো বলছেন, ফেসবুক পেজে ও অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে উচ্চ মূল্যহ্রাসে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, ইলেকট্রিক ফ্যানসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতো তারা। পণ্যের দাম পরিশোধের ৩০ দিনের মধ্যেই গ্রাহককে পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতো না।পণ্যের জন্য চাপ দিলে গ্রাহককে ব্যাংক চেক দিয়ে দিতো। কিন্তু সেই চেক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা থাকতো না- যোগ করেন ইমাম হোসেন।
এমকে