বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে টানটান উত্তেজনা ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে এক রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এর আগে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে শিরোপা জিতেছিল কুমিল্লা।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলায় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৫১ রান তুলে কুমিল্লা। জবাবে বরিশাল ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে।
কুমিল্লার দেয়া ১৫২ রান তাড়া করতে নেমে স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল বরিশাল। তবে ১৬তম ওভারে নুরুল হাসান সোহান রান আউট, ১৭ম ওভারে ডোয়াইন ব্রাভো এলবিডব্লিউ আউট হলে ম্যাচটি কঠিন হয়ে যায়। এরপর ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজের বলে শান্ত ১২ রান করে এলবিডব্লিউ হলে বরিশালের হাত থেকে ম্যাচটি ফঁসকেই যায়।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সুনিল নারিনের ব্যাটিং তাণ্ডবে উড়ন্ত সূচনা পায় কুমিল্লা। তিনি ২৩ বল খেলে ৫৭ রান করে আউট হওয়ার পর কুমিল্লার ব্যাটিংয়ে ধস নামে।
নারিন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ২১ বলে তুলে নেন ফিফটি। আগের ম্যাচেই তিনি বিপিএলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছিলেন। তবে এই ক্যারিবীয়কে থামান মেহেদি রানা। তার একটি স্লোয়ার উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিসটাইমিং হয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন ২৩ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় ৫৭ রান করা নারাইন।
নারিনের আউট হওয়ার পর কুমিল্লার ব্যাটিংয়ে ধস নামে।
যেখানে ম্যাচের প্রথম তিন ওভারেই ৪০ রান তোলে কুমিল্লা। এরপর প্রথম ১০ ওভারে করে ৯৪ রান। ফলে বড় সংগ্রহের আশা দেখালেও তা করতে পারেনি কুমিল্লা।
একে একে ফিরে যান ফাফ ডু প্লেসি, ইমরুল কায়েস। ডু প্লেসি ৭ বল খেলে মাত্র ৪ রান করে আউট হন মুজিব উর রহমানের বলে। অন্যদিকে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১২ বল খেলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডোয়াইন ব্রাভোর বলে।
এরপর ক্রিজে আসা আরিফুল হক কোনো রান করার আগেই মুজিবের বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান।
নিজেদের ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে ধুঁকতে থাকে কুমিল্লা। দলের বাকিরা যখন আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন তখন মাটি কামড়ে ধরে কিছু রান তোলার চেষ্টা করেন মঈন আলী ও আবু হায়দার রনি। তবে দুইজনই খুব ধীরগতিতে খেলেন। মঈন আলী শেষ দিকে আবার কিছুটা মারমুখী হয়ে ওঠেন। মঈনের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। শেষ ওভারে সাকিবের করা থ্রোয়ে রান আউট হন তিনি। অন্যদিকে আবু হায়দার রনি শেষ ওভারেই ২৭ বল খেলে ১৯ রান করে আউট হন।
বরিশালের পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন মুজিব ও শফিকুল। আর সাকিব, ব্রাভো ও মেহেদি হাসান রানা ১টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন।