১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থল, অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খেতে ও আবাসিক হোটেলে থাকতে অবশ্যই টিকা সনদ দেখাতে হবে। করোনা প্রতিরোধে সোমবার (১০ জানুয়ারি) এ ধরণের ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী মাস্ক না পরলে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে সংশ্লিষ্টজনকে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে-উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। ১২ বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতেও আগত ট্রাকে শুধু ড্রাইভার থাকতে পারবে, কোনও সহকারি আসতে পারবে না। সব ধরণের যানের চালক ও সহকারিদের অবশ্যই করোনা প্রতিরোধীর টিকা সনদধারী হতে হবে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শনার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরার বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে। ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও এলাকার করোনা পরিস্থিতি নাজুক হলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এমকে