দুদকের মামলায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত, একই সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের দায়ে এ শাস্তি দেয়া হয়। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরো তিন মাস জেল খাটতে হবে বাবরকে।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭’র বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামি বাবর। প্রায় একযুগ ধরে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে এ মামলার রায় দিলেন আদালত। মামলাটিতে সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ৫ বছর ও তথ্য গোপনের দায়ে ৩ বছর- দুটি মিলে এ ৮ বছর কারাদণ্ড হয়েছে তার। দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলায় তাকে মোট ৫ বছরের সাজা খাটতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আদালত। মামলাটি করা হয়েছিল ২০০৮ সালে জানুয়ারি মাসে, জরুরি অবস্থা চলাকালে।
মামলায় বাবরের বিরুদ্ধে মোট ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ‘নালিশি বাড়ি’ নির্মাণে ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকার তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন এবং গুলশান শাখার প্রাইম ব্যাংকে জমা করা ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকার তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের মামলায় মৃত্যুদণ্ড মাথায় রয়েছে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে তিনবারে নির্বাচিত সাবেক এ সংসদ সদস্যের।
এমকে