আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের ওপর। বর্তমানে প্রতিদিন তেল বিক্রিতে ২০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কে। মূল্যবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে বছরে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো লোকসান হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
লোকসান ঠেকাতে এ পণ্যটির দাম বাড়ালে তেল নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উৎপাদন খরচ বাড়বে, বাড়বে এ তেল ব্যবহার সংশ্লিষ্ট বাকি খাতের খরচও।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারকে ভুর্তকি দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।
আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে এ তেল বিক্রি হচ্ছে সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে, প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলার। বছরের শুরু থেকেই দাম বাড়ছে, জানুয়ারির শুরুর দিকে দাম ছিল ৪৯ ডলার।
বিপিসির ১১ অক্টোবরের হিসাবে অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেলে ১৩ টাকা ৬০ পয়সা ও ফার্নেস অয়েলে ৮ টাকা ৫০ পয়সার মতো লোকসান হচ্ছে। দৈনিক গড়ে ১২ হাজার ৮০০ টন ডিজেল ও দুই হাজার টন ফার্নেস অয়েল বিক্রি করে তেল বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলো। এ হিসাবে ডিজেলে ১৯ কোটি ৯ লাখ টাকা আর ফার্নেস অয়েলে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে।
বছরে মোট চাহিদার মাত্র ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করা হয় দেশে। বাকি চাহিদা মেটাতে আমদানি করতে হয় পরিশোধিত তেল। অপরিশোধিত তেলের দামের ওপেই নির্ভর করে সব ধরনের জ্বালানির দাম। অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে পরিশোধিত তেলের দামও আনুপাতিক হারে বাড়ে।
জ্বালানি বিভাগ বলছে, পরিস্থিতি এখনো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তেলের দাম কমতে শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।কিন্তু বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে ভর্তুকি দেয়া বা মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না। সবকিছুই সরকারকে জানানো হয়েছে, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে যে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে, সেটাই করবে বিপিসি। সরকারকে জানানোর কথা গণমাধ্যমকে বলেছেন বিপিসি’র একজন কর্মকর্তা।
এমকে