খালে মৃত ভ্রণ, কুমারী মাসহ আটক-৩

১৫ অক্টোবর ২০২১

কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা:

গর্ভধারণের ৭/৮ মাস বয়সে গর্ভপাত ঘটানোয় মারা যাওয়া একটি ভ্রুণ ভোলার শশীভূষণ এওয়াজপুর গ্রামের অন্দিরখাল থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কুমারী মাসহ তিন নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতাররা আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।তার আগে এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক শমেছ আলী।

গ্রেফতাররা হলো- লিমা, লিমার মা আসমা এবং লিমার নানী ফাতেমা। এদের মধ্যে লিমার গর্ভপাত ঘটনো হয়। ভ্রুণটি উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তদন্তের সূত্র ধরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়দের কাছে থেকে খবর পেয়ে ভ্রুণটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোমবার রাতে লিমার বসতঘরে গর্ভপাত ঘটানো হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শশীভূষণ থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।

লিমার উদ্ধৃতি দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ১৮ বছরের লিমা তার চাচাতো মামা রিপনের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে জড়ালে অন্তঃস্বত্বা হয়। এ ঘটনায় দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের আলোচনায় সময়ক্ষেপণ হয়। এদিকে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গর্ভের সন্তান বেড়ে ওঠায় আসমা ও রিপনের মা ফাতেমা মিলে গর্ভপাতের ষড়যন্ত্র করে। সোমবার তারা লিমাকে চরফ্যাশন উপজেলা সদরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে আসে। সেখানে এক চিকিৎসকের পরামর্শে গর্ভপাত ঘটাতে ঔষধ সংগ্রহ করে। ওই ওষুধ খাওয়ার পর সোমবার রাতে লিমার গর্ভপাত হয়। আসমা ও ফাতেমা মিলে রাতেই বাড়ির পাশে অন্দির খালে ফেলে আসে মৃত ভ্রুণটি। দু’টি পরিবারের মধ্যে আর্থিক দ্বন্দ্ব ও সম্পর্কের টানাপোড়নের বিয়ে হয়নি বলে জানায় পুলিশ।

শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, হত্যায় ব্যবহৃত ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। হত্যার জন্য ওষুধ দেয়া চিকিৎসকসহ নেপথ্যে থাকা আসামীদের সনাক্ত ও আটকে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর