বর্তমানে যারা দলে পদ বা নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের হারানোর কিছু নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে শেখ হাসিনা তাদের ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যতক্ষণ নেতৃত্বে আছেন- কারো শ্রম ও ত্যাগ বৃথা যাবে না। শনিবার রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন। রাজধানীর ঢাকার বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, তথ্য গোপন করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিতে সুপারিশসহ যারা বিতর্কিতদের নাম কেন্দ্রে পাঠাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রার্থী পরিবর্তন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের জানান, নির্বাচনে পাহাড়সম অভিযোগ জমা আছে, দফায় দফায় প্রার্থী পরিবর্তন করা হচ্ছে- এমন অভিযোগ সত্য নয়। সব অভিযোগই যে সত্য- এমনটাও মনে করার কিছু নেই। প্রায় ৪০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৫টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। ‘নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে’ নিজের পক্ষে রাখতে সংশ্লিষ্টদেরকে বিতর্কিতদের নাম কেন্দ্রে না পাঠানো কথাও বলেন ওবায়দুল কাদের।
সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দিরে হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা এ হামলা চালিয়েছে। এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীল তৈরির অপচেষ্টায় জড়িতদের, মদদদাতাদের ও নেপথ্যের কুশীলবদের সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হবে। এ অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবানও জানান ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিল্লুর হাকিম।উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী প্রমুখ।
এমকে