বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ে রেকর্ড

১৭ অক্টোবর ২০২১

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়।বিদ্যুৎ খাতে গ্যাস সঙ্কট ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে  গেল অর্থবছরে(২০২০-২১) রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে এ ব্যয়ে। যদিও উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির পর থেকে ওঠানামা করছে এ ব্যয়। ২০০৯ সালের পর থেকে বাড়ছে উৎপাদন সক্ষমতা ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে এলএনজির আমদানি। এতে বিদ্যুৎ খাতে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা যায়নি। গত অর্থবছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা দাঁড়ায় ২২ হাজার ৩১ মেগাওয়াট, উৎপাদনের পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৮৫২ কোটি ৪৭ লাখ কিলোওয়াটঘণ্টা। উৎপাদনে ব্যয় দাঁড়ায় ৫১ হাজার ৬৩৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা, গড় ব্যয় দাঁড়ায় ছয় টাকা ৫৮ পয়সা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে গড় ব্যয় ছিল ছয় টাকা ২৮ পয়সা, উৎপাদনের সক্ষমতা ছিল ১০ হাজার ৫১৬ মেগাওয়াট। উৎপাদন হয় চার হাজার ২১ কোটি ৪২ লাখ কিলোওয়াটঘণ্টা। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম  বেড়ে যাওয়ায় এ বছরও  উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়ায় ১০ হাজার ৭৬৯ মেগাওয়াট,  উৎপাদন হয় চার হাজার ৩৭৩ কোটি ৭৮ লাখ কিলোওয়াটঘণ্টা।  গড় ব্যয় দাঁড়ায় ছয় টাকা ২৭ পয়সা। এর পরের কয়েক বছর  উৎপাদনের গড় ব্যয় ক্রমশ কমে,  ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দাঁড়ায় পাঁচ টাকা ৫৫ পয়সা; উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১২ হাজার ৩৩৩ মেগাওয়াট, উৎপাদন হয় পাঁচ হাজার ১৯ কোটি ৩৩ লাখ কিলোওয়াটঘণ্টা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে  দাঁড়ায় চার টাকা ৯০ পয়সা, সক্ষমতা ১৪ হাজার ৯৪ মেগাওয়াট আর উৎপাদন পাঁচ হাজার ৫৩৮ কোটি ৪৯ লাখ ইউনিট হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আরো কমে দাঁড়ায় চার টাকা ৮৪ পয়সায়;  উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়ায় ১৪ হাজার ১১৩ মেগাওয়াট, উৎপাদন হয় ছয় হাজার আট কোটি ৯৪ লাখ ইউনিট। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে  বেড়ে যায়, দাঁড়ায় পাঁচ টাকা ৯৫ পয়সা; উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১৮ হাজার ৪৫৮ মেগাওয়াট, উৎপাদন হয় ছয় হাজার ৮৫১ কোটি পাঁচ লাখ কিলোওয়াটঘণ্টা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সামান্য হ্রাস পায়, দাঁড়ায় পাঁচ টাকা ৮৫ পয়সা; উৎপাদন সক্ষমতা  ১৮ হাজার ৯৬৬ মেগাওয়াট থাকলেও উৎপাদন হয় ছয় হাজার ৯৪১ কোটি ১৫ লাখ কিলোওয়াটঘণ্টা।

পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত অর্থবছরে গ্যাস  সঙ্কটের কারণে তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বেশি চালাতে হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের  নিয়মিত বাড়তে থাকায় এর প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ে।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর