কমছে তো না-ই, বরং বাড়ছে নিত্যপণের দাম। এ তালিকায় আছে চাল, চিনি, মুরগি, সয়াবিন তেলসহ আরো কিছু পণ্য। সেই সঙ্গে বাজারে এখন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজিও। এতে তিন বেলায় মোটামুটি মানের আহার যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষত সীমিত আয় ও নিম্ন আয়ের। পোষ্যদের ভরণ-পোষণসহ পুরো মাসের সংসার খরচ কিভাবে চলবে তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে তাদের। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পাশাপাশি এ দাম বাড়ার কথা বলছে সরকারি বিপণন সংস্থা (টিসিবি)ও। শহর ও গ্রাম দুই জায়গাতেই খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে- মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যে এটা জানা গেছে। বৃহস্পতিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে দেশের বাজারে চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে বলে জানা গেছে। টিসিবির তথ্যানুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে প্রায় তিন শতাংশ। লিটার প্রতি খোলা ও বোতলজাত সয়াবিনে ৫ টাকা, পাম অয়েলে ৭ টাকা, চিনির কেজিতে ৩ টাকা দাম বেড়েছে। কেজিতে ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে আদা, পেঁয়াজ ও রসুন ছাড়া প্রায় সব পণ্যেই দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের ৫৫ টাকা কেজি দরের সরু চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকা দরে। টিসিবির হিসাবে, দামে সয়াবিনের লিটার এখন খোলাটা ১৪৫ টাকা ও বোতলজাতটা ১৫৫ টাকা। পাম অয়েলের ক্ষেত্রে এ দর ১৩২ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এর দর ছিল যথাক্রমে ১৪০, ১৫০ টাকা ও ১২৫-১৩০ টাকা। গত সপ্তাহের ৭৯ টাকার চিনি এখন বিক্রি হচ্ছে এখন ৮২ টাকা কেজি দরে।
এদিকে রাজধানীর বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি গাজর ১০০-১৬০ টাকা, টমেটো ১৪০-১৬০ টাকা, শিম ৮০-১২০ টাকা, ঝিঙে ৪০-৫০ টাকা, মুলা ৪০-৬০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা,পটল ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৬০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০-৩৫ টাকা, ছোট ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস ৩০-৫০ টাকা, শাকের আঁটি লাল ১০-২০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, কলমি ৫ -১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন আগে পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকায় ঠেকলেও সরকার শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ায় নেমেছে ৬০-৬৫ টাকায়। বিবিএস বলছে, আগস্টের ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশে। গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশে দাঁড়ানোর অর্থ- গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১০০ টাকায় পাওয়া পণ্যটি কিনতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে লেগেছে ১০৫ টাকা ৫৯ পয়সা। বিবিএস’র হিসাবে, মানুষকে নিত্যপণ্যের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করেতে হচ্ছে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের পেছনে। খরচ বেড়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহন, আসবাব ও বিনোদন খাতে।
এমকে