গতি নিয়ে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না, চলাচল করতে হচ্ছে খুব ধীরগতিতে। সড়ক প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের আধিক্য বেশি, সঙ্গে রয়েছে সড়কে চলমান উন্নয়ন কাজ। আগে পার্কিংয়ে থাকলেও এখন উবার-পাঠাও হিসেবে রাস্তায় নেমে পড়েছে অনেক মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার। চালকদের বেশিরভাগই পুরোপুরিভাবে মানছে না ট্রাফিক আইন। এসব কারণে ‘যানজট রোগে’ ধুঁকছে রাজধানী ঢাকা। এতে ব্যস্ত নগরবাসীর সময় অপচয় হচ্ছে, ঘর থেকে বের হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। প্রতিনিয়ত যানযট লেগে থাকার এসব কারণ শনাক্ত হয়েছে গণপরিবহনের চালক ও তার সহকারিদের কথায়।
পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সকালে অফিস-আদালত শুরু হওয়ার আগে ও বিকালে অফিস-আদালত বন্ধ হওয়ার পরে বেশিরভাগ দিনই যানজট অসহনীয় মাত্রায় রূপ নেয়। মাঝের সময়টায় যানজট কিছুটা কমে। বেশিরভাগ যানজট লেগে থাকে রাজারবাগ, ফকিরেরপুল, কাকরাইল, দৈনিক বাংলা, বাংলা মোটর, কাওরান বাজার, এফডিসি মোড়, হাতিরঝিল, মগবাজার, শাহবাগ, ফার্মগেট, বিজয় স্মরণীসহ বিভিন্ন এলাকায়। প্রতিটি সিগন্যালে ৫-১০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। অপেক্ষার এ সময়ে সিগন্যালের পেছনে লম্বা হতে থাকে যানবাহনের সংখ্যা। এর বাইরে মহল্লার ভেতরকার অলিগলিতেও যানজট লেগে থাকছে। এদিকে যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের। সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন যানবাহনকে মামলা দিচ্ছে তারা। বিভিন্ন কারণে প্রতিদিন গড়ে ৬ শতাধিক যানবাহনকে মামলা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে, বেশি মামলা হচ্ছে মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে। তারপরও যেন পিছু ছাড়ছে না এ যানজট। নগরবাসী যানজটমুক্ত সড়ক দেখতে চায়।
এমকে