শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, খেলাধুলার স্থান,সুইমিংপুল, হাটবাজার, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অন্যান্য সুবিধা যেন সব মানুষ এক জায়গায়ই পায়, সেজন্য গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে করতে হবে সব অবকাঠামোও। এজন্য সব জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আমলাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের অংশীজন শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম।
রাজধানী ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, গ্রাম গড়ে তুলতে হবে গুচ্ছভিত্তিক। গ্রামের মধ্যে কিছু অংশে আবাসিক এলাকা ও কিছু অংশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, খেলাধুলার স্থান, সুইমিংপুল, হাটবাজার, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অন্যান্য সুবিধা থাকবে।সব অবকাঠামো পরিকল্পিতভাবে করলে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও স্যুয়ারেজের লাইনসহ সব ধরনের সুবিধার ব্যবস্থা করা সহজ হবে।
মন্ত্রী তাজুল বলেন, গ্রাম-গঞ্জে আর যত্রতত্র অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না,সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করলে তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দর্শন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’বাস্তবায়নের পর গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না। শহরের সব আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতেই এ দর্শন গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী- যোগ করেন তাজুল ইসলাম।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। উপস্থিত ছিলেন আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মামুন আল রশীদ ও রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইয়োহো প্রমুখ।
এমকে