নাসার স্পিৎজার টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে গডজিলার অবয়ব। পৃথিবী থেকে ৭ হাজার ৮০০ আলোকবর্ষ দূরে এটি দেখা গেছে। সেটি আসলে স্যাজিটারিয়াস নক্ষত্রপুঞ্জে। এই স্যাজিটারিয়াস নক্ষত্রপুঞ্জে একটি নেবুলায় অবিকল গডজিলার মতো দেখা যায়।
২০০৩ সালে নাসা মহাকাশে স্পিৎজার টেলিস্কোপ পাঠায়। মহাকাশের নানা অজানা বিষয়ের ছবি তুলতে। মহাকাশের না তথ্য পৃথিবীবাসীর জানাতে। ২০২০ সালে স্পিৎজারের কাজ শেষ হয়। টেলিস্কোপটি এখর বন্ধ রয়েছে। তবে সেই টেলিস্কোপের পাঠানো ছবিগুলি খতিয়ে দেখছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাতে ধরা পড়ছে আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বিভিন্ন মুলুকের তারামণ্ডল। সেখানকার জমাট বাঁধা গ্যাস ও ধূলিকণার অত্যন্ত পুরু মেঘের স্তর বা স্তম্ভগুলি। এদের থেকেই ধীরে ধীরে তৈরি হয় তারামণ্ডল, গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু এমনকি ধূমকেতুও। জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায়, সেই জমাট বাঁধা গ্যাস ও ধূলিকণার অত্যন্ত পুরু মেঘের স্তর বা স্তম্ভগুলিকে বলা হয় ‘নেবুলা’।
আমাদের সৌরমণ্ডল, পৃথিবী-সহ অন্যান্য গ্রহ ও তাদের উপগ্রহ, এই সৌরমণ্ডলের গ্রহাণুপুঞ্জ, সৌরমণ্ডলের একেবারে শেষ প্রান্তে থাকা বরফের মহাসাম্রাজ্য ওরট্ ক্লাউডও তৈরি হয়েছে এমন নেবুলা থেকেই।
আরআই