জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের কৃষি খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বলেছেন,  সম্ভাব্য এ ক্ষতির হাত থেকে কৃষি খাতকে রক্ষায় তার মন্ত্রণালয় সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।

শুক্রবার ‘বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ২০২১: বাংলাদেশের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনারে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। রাজধানী ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে এ সেমিনার হয়। উপলক্ষ ছিল  যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলন বা কপ-২৬। সেমিনারটির আয়োজন করে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে কৃষিকে রক্ষায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের নেয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী জানান, লবণাক্ত-সহিষ্ণু, খরা-সহিষ্ণু, জলমগ্নতা সহনশীল, উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীলসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে চাষের উপযোগী ধান, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণে কাজ করা হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা এসব কাজে  ইতোমধ্যে অনেক সফলতাও এসেছে। তাছাড়া এ প্রভাব মোকাবিলায় ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ও অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন, ৭০০ কোটি টাকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠনসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বর্তমান সরকার। এসব কর্মসূচির বাস্তবায়ন সফলভাবে এগিয়েও চলেছে।  বিদেশি সাহায্য না এলেও  নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদশে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলা করতে পারবে। কারণ হিসাবে বিদেশি সাহায্যের ওপর বাংলাদেশের আর নির্ভরশীলতা না থাকার জানান কৃষিমন্ত্রী।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন  আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান প্রমুখ।

এমকে