দক্ষিণের পরিবর্তে বইতে শুরু করেছে উত্তরের বাতাস। সন্ধ্যার পর কমছে তাপমাত্রা। ভোরে রাতে মৃদ শীতের অনুভূতি হচ্ছে, গ্রামাঞ্চলে গায়ে জড়াতে হচ্ছে কাঁথা, প্রকৃতিতে ভোরে দেখা মিলছে হালকা কুয়াশার। এদিকে আবহাওয়া পরিবর্তনে সর্দি, কাশি ও জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত ৫ বছরের নিচের শিশুরা ও বয়স্ক নারী-পুরুষরা আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে এ ধরণের রোগীর চাপ বাড়ছে।
বাতাসে শীত শীত ভাব থাকলেও শীতকাল শুরু হতে এখনো মাস খানেক বাকি। প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল, বাংলায় কার্তিক মাস। আনুষ্ঠানিক শীতকাল শুরু হয় পৌষে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে। যদিও এখনই দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ভোরের দিকে ১৬ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এখন থেকেই কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা। এভাবে ধীরে ধীরে শীতের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ। যদিও মাঝে মধ্যে কমার ছন্দপতনে বাড়ার সম্ভাবনা আছে তাপমাত্রা, সূর্যের অবস্থান, বঙ্গপোসাগরে লঘুচাপ আ জলীয় বাস্পের কারণে শীতের আমেজ থাকবে না।
শনিবার বিকালের আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় সন্দ্বীপে, ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেতুলিয়ায়- ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদির পূর্বাভাস বলছে- বিদায় নিয়েছে মৌসুমি বায়ু, চলতি অক্টোবর মাসেই। দিন ও রাতের তাপমাত্রা আগামী মাসে ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করবে, এ সময়ে সম্ভাবনা রয়ে গেছে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের। নভেম্বর মাসের এ পরিস্থিতি থাকবে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে। তবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে নূন্যতম একটি আর সর্বোচ্চ দুটি মৃদ থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মধ্যস্থলে এটার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে সর্দি কাশি থেকে কোমলমতি শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে অভিভাবকদের সচেতন থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে এ সময়ে তাদের প্রতি একটু বেশিই খেয়াল রাখতে। আক্রান্ত হলে বিচলিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে।
এমকে