ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলছেন, এ ঘটনায় বিএনপিকে জড়ানোর মাধ্যমে দেশে শুরু হওয়া জনগণের আন্দোলন থেকে দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে নিতে চায় সরকার। রোববার "অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও আজকের প্রেক্ষাপট, আমাদের করণীয়" শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন। রাজধানী ঢাকায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ বৈঠকের আয়োজন করে নারী অধিকার ফোরাম।
সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় সরকারকে পুরোপুরি দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ নিয়ে কোনো কনফিউশন নেই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা বিনষ্ট করছে, তারা চতুরভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংসের মাধ্যমে একটি দলকে স্থায়ীভাবে রাখতে কাজ করছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না। তারা সংবিধানে থাকা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান ২০১২ সালে বাতিলের মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। তারা যেন একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, সেজন্য সর্বগ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই সবার লক্ষ্য হতে হবে- যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহবায়ক বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আলোচনা করেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরাম (একাংশ) নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
এমকে