এক কর্মীর রগ কর্তন, ২০ বাড়িতে ভাঙচুর

০১ নভেম্বর ২০২১

দীপক কুমার সরকার, বগুড়া প্রতিনিধি:

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বগুড়ার শিবগঞ্জের বিহার ইউনিয়ন উত্তপ্ত হয়ে ওঠছে। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। রোববার সন্ধ্যার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থীর এক কর্মী রবিউল ইসলামের (২৮) হাত-পায়ের রগ কেটে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে, হামলা চালিয়ে ২০টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। রবিউল ইসলামকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। ভুক্তভোগীদের দাবি- চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীর লোকজন এ হামলা-ভাঙচুর ও মারধর করে।

বিহার ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম। মহিদুল ইসলাম শিমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি। এ কারণে শিমুলের ভাই  রবিউল আওয়ামী লীগের কর্মী হলেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মতিউর রহমানের পক্ষে কাজ করছেন, তার পরিবারও  বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।

রবিউলের ভাই ইউপি সদস্য আবু রায়হানের অভিযোগ, মহিদুল ও তার লোকজন রোববার সকাল থেকে বিহার বাজারে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর শুরু করে। পরে সম্মিলিতভাবে বাধা দিলে তারা বাজার ছেড়ে বিভিন্ন পাড়ায় ঢুকে তান্ডব শুরু করে। রবিউলকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই হাত ও ডান পায়ের রগ কেটে নাগর নদীতে ফেলে দেয়। তাদের গ্রামের অন্তত ছয়টিসহ আশপাশের ২০টি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। তিনি জানান, গত ১৭ অক্টোবর রাতে তারা বিহার হাটে বিদ্রোহী প্রার্থীর মোটরসাইকেল মার্কার অফিসে হামলা চালিয়ে দুইজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং হাটের দুটি দোকান ভাঙচুর করে।

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই শিবগঞ্জ হাসপাতাল এলাকায় মহিদুলকে আটকের চেষ্টা চালানো হয়। এ সময় তিনি তার মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর