দেশে ১২-১৭ বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় মতিঝিলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এ কার্যক্রম। উদ্বোধনে অংশ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আপাতত রাজধানীতে এ টিকা দেয়া হবে, আটটি কেন্দ্রে। পরবর্তীতে রাজধানীতে টিকাদান কেন্দ্র বাড়ানো হবে, সেই সঙ্গে সারা দেশে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর অন্য কেন্দ্রগুলোতে এ টিকা দেয়া হবে, প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাড়া বাকি সাতটি কেন্দ্র হলো– হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (ভাটারা), সাউথ পয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মালিবাগ), চিটাগং গ্রামার স্কুল (বনানী), কাকলী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ (ধানমন্ডি), ঢাকা কমার্স কলেজ (মিরপুর চিড়িয়াখানা রোড), স্কলাস্টিকা (মিরপুর-১৩) এবং সাউথ ব্রিজ স্কুল (উত্তরা)।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, টিকার কোনো অভাব হবে না, সরকারের হাতে ফাইজারের অনেক টিকা রয়েছে। ১২-১৭ বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে ৩ কোটি টিকা প্রয়োজন, ২ কোটি টিকা নিশ্চিত করা আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফাইজার ও মডার্নার আরো টিকা দেবে। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, টিকাদানের ক্ষেত্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তবে বিভিন্ন স্কুলের অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও টিকা পাবে। স্কুল ভিত্তিক টিকা দেয়া হচ্ছে। সব স্কুল থেকে এ আট কেন্দ্রে টিকা নিতে আসবে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি টিকা দেয়া হবে। এ টিকা নিরাপদ তাদের জন্য। তার আগে ১৪ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয় এবং টিকাগ্রহীতাদের পর্যবেক্ষণ রাখা হয়। পরীক্ষামূলক টিকা দেয়া হয় মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের এ বয়সের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে। পরীক্ষামূলক টিকাদানের পর পর্যবেক্ষণ শেষে সব ধরনের টিকা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
এমকে