গেল অক্টোবর মাসে তার আগের অক্টোবরের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গেল অক্টোবর শেষে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারে। শুধু অক্টোবরেই নয়, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার পেছনে দুটি কারণ দেখছেন অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা। গত বছর করোনার তাণ্ডবকালেও রেমিট্যান্সের গতি ছিল ঊর্ধ্বমুখী ।
এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমলেও বাজার দর নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পণ্যের আমদানি বেড়েছে। এতে বাড়ছে ডলারের চাহিদা। আর ডলারের চাহিদার বিপরীতে কমছে টাকার মূল্যমান। সম্প্রতি খোলা বাজারে ও নগদ মূল্যে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ দামে কেনাবেচা হয়েছে ডলার- ৯০ টাকা ১০ পয়সায়।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গেল অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ২০২০ সালের অক্টোবরে এসেছিল ২১০ কোটি ২১ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি মার্কিন ডলার, আগস্টে ১৮১ কোটি মার্কিন ডলার ও জুলাইয়ে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে। জুনে আসে জুলাইয়ের চেয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার বেশি। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।
অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় আরোপিত বিধিনিষেধ ওঠে গেছে, ফলে হুন্ডির মাধ্যমে বাড়ছে অর্থ লেনদেনের পরিমাণ। করোনার কারণে প্রবাসীদের চাকরি হারানোর অনুপাতে নতুন বৈদেশিক নিয়োগ হয়নি। এতে কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
এমকে