দেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বেড়ে যাচ্ছে সহিংসতা । ভোটের মাঠে প্রার্থীসহ তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সহনশীলতার অভাব এর বড় কারণ। খবর পাওয়া যাচ্ছে, কিছু কিছু এলাকায় এক ধরণের কোন ঠাসা হয়েই পড়ছে চেয়ারম্যান পদের প্রতিদ্বন্দ্বি বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা। বেপেরোয়া আচরণ করছে প্রভাবশালী সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরাও। নির্বাচেন সহিসংতা বেড়ে যাওয়ায় বিব্রত ও উদ্বিগ্নতা কাজ করছে নির্বাচন কমিশনেও। প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মি. হুদা।
সিইসি নুরুল হুদা মনে করছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা ইতিবাচক নয়। রাজনৈতিক দলগুলো আরো একটু প্রো-অ্যাকটিভ হলে সহিংসতা কমবে। এসব বিষয়ে তাদের সক্রিয় ভূমিকা থাকা দরকার। বেড়ে যাওয়া নির্বাচনি সহিংসতা সবার প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।
সিইসি জানান, সহিংসতা নিরসনে করণীয় নিয়ে কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা শেষে মাঠ পর্যায়ের যারা আছেন, তাদের নির্দেশনা দেয়া হবে। কী ধরনের নির্দেশনা দেয়া দরকার, সেগুলো নিয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি। তবে নির্বাচনি সহিংসতায় ফৌজদারি আইনে আমলযোগ্য সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে বলেও জানান সিইসি ।
নির্বাচনি পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আছে। রাজনৈতিক দল, ভোটার ও প্রার্থীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। তাই মাঠ পর্যায়ে সহনশীলতা না থাকলে এ নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন শুধু নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় থাকে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচনের বিষয়টি শুধু নির্বাচন কমিশনের নয়, এটা সবারই।
এর আগে এ নির্বাচনে বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনাররা। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপস্থিত ছিলেন না।
এমকে