দাম বাড়লো ডিজেল ও কেরোসিনের

০৪ নভেম্বর ২০২১

ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন দর অনুযায়ী প্রতি লিটার কিনতে হবে ৮০ টাকায়। ৪ নভেম্বর থেকেই এ দর কার্যকর হবে। বুধবার রাত ১০টায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। দাম বাড়ানোর আগে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হয় ৬৫ টাকা দরে। সেই হিসাবে লিটারে বাড়লো ১৫ টাকা।

দাম বাড়ানোর কারণ হিসাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমানের কথা বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে কম দামে তেল বিক্রি করায় জ্বালানি বিপননকারী সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)’র দৈনিক লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।   

এদিকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হলেও অকটেন ও পেট্রোল দর আগেরটাই ঠিক রাখা হয়েছে। লিটার প্রতি অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রোল ৮৬ টাকা দরেই বিক্রি হবে।  আর জ্বালানি তেল বিশেষত ডিজেলের দাম বাড়ানোয় পরিবহন খরচ আগের চেয়ে বেড়ে যাবে। এতে মূলত সাধারণ মানুষেরই খরচ বাড়বে বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।   

জ্বালানি বিভাগ বলছে, বিশ্ববাজারে দাম ঊর্ধ্বগতি থাকায় জ্বালানি তেলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করছে বিশ্বের অন্যান্য দেশ। ১ নভেম্বর  ভারতে ডিজেল দর ছিল লিটার প্রতি ১০১.৫৬ রুপি ( বাংলাদেশি মূদ্রায় ১২৪ টাকা ৪১ পয়সা)। অথচ ভারতের চেয়ে ৫৯ টাকা ৪১ পয়সা কম দামে এ তেল বাংলাদেশে বিক্রি হয় ৬৫ টাকায়। দৈনিক ২০ কোটি টাকা লোকসানের বিষয়ে বলা হয়, বর্তমান ক্রয় মূল্যের চেয়ে লিটার প্রতি ডিজেল ১৩.০১ এবং ফার্নেস অয়েল ৬.২১ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। জানানো হয়, গত অক্টোবরে বিভিন্ন গ্রেডের পেট্রোলিয়াম পণ্য বর্তমান মূল্যে সরবরাহ করায় মোট ৭২৬.৭১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বিপিসির।

এর আগে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। নির্ধারিত দাম অনুযায়ী লিটার প্রতি ডিজেল ৬৫ টাকা, কেরোসিন ৬৫ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রোল ৮৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল এতোদিন। তার আগে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় দেশে। বর্ধিত দাম অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত  প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকা দরে বিক্রি হয়।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর