রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুরে একটি অসহায় পরিবারের বসতঘর ভাঙচুর ও ঘরের সব মালামাল লুট এবং এ ঘটনায় থানায় লুটের মামলার পরিবর্তে চুরির মামলা রেকর্ড করার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। রোববার সকালে নৈকাঠি বাজার এলাকায় এ মানবন্ধনের আয়োজন করে স্থানীয় জনসাধারণ। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বংশধর চন্দ্রিমা রিমু এবং বিতর্কিত নারী ইউপি সদস্য ইয়াসমিন মুন্নি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা ১৯৭১ সালের লুটপাটকে হার মানিয়েছে। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। দাবি করেন ঘটনার সঠিক তদন্তের। সেই সঙ্গে চুরির মামলার পরিবর্তে লুটের মামলা রেকর্ড করে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাসির উদ্দিন জুয়েল তালুকদার, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজনিন পাখি, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) শাহনাজ লিপি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান করিম সিকদার, সমাজ সেবক আনোয়ার হোসেন মিলন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মানিক সিকদার, রুমিছা আক্তার প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর নৈকাঠি বাজার এলাকায় শহিদুলের বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে কর্মরত বিউটিশিয়ান চন্দ্রিমা রিমু ও রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমি মুন্নি তার বাড়িতে শতাধিক লোক নিয়ে যায়। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। তারা শহিদুল, তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে মারধর করে ও দঁড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে বসতঘর ভাঙচুর করে। ঘরের সব মালামাল লুট করে পিকআপে নিয়ে যায়। অস্ত্রের ভয়ে এলাকার কেউ বাধা দেয়ার সাহস পায়নি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ চুরির মামলা রেকর্ড করে।
আবু সায়েম আকন/এমকে