দামের আচে বিপাকে ক্রেতা

১৩ নভেম্বর ২০২১

চালের কেজি মিলছে না ৫০ টাকার নিচে, প্যাকেটজাত আটার দামও ৪০ এর ওপরে। আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা আর কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। সয়াবিনের লিটার আর ডালের কেজি মানভেদে কিনতে গুনতে হচ্ছে নূন্যতম ১৫৬ ও ৯০ টাকা। কেজি প্রতি চিনিও বিক্রি হচ্ছে ৮২-৮৬ টাকা দরে। এর সঙ্গে রয়েছে সবজি বিশেষত শীতের সবজির চড়া দাম। বাজারে নিত্যপণ্যের এমন দামের আচ লাগছে ভোক্তা পর্যায়ের সাধারণ ক্রেতাদের পকেটে, পরিবারের সদস্যদের তিন বেলার খাবারের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

নিত্যপণ্যের সঙ্গে আনুসাঙ্গিক খরচ যোগ করলে আগের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জীবনযাত্রার। ফলে তাদেরকে হাত দিতে হচ্ছে সঞ্চয়ে। তারা চাচ্ছেন বাজার দরটা যেন ক্ষমতার মধ্যে থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার প্রতি কেজি চাল মানভেদে ৫৬-৮২ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৪৫-৪৬ টাকা, মসুর ডাল ৯০-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর সয়াবিনের লিটার বিক্রি হয়েছে ১৫৬-১৬৫ টাকায়। কেজি প্রতি শিম ১০০-১২০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০-৮০ টাকা,পটল ৬০ টাকা,বরবটির ৬০-৭০ টাকা, ঝিঙা ৪০-৫০ টাকা,মুলা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়। শাকের আঁটি বিক্রি হয়েছে লালটা ১০-১৫ টাকা, মুলা ১০-১৫ টাকা ও পালং ২০-২৫ টাকা দরে। আকারভেদে ফুলকপির পিস ৪০-৫০ টাকা এবং বাঁধাকপির পিস ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বরাবরের মতো বিক্রেতারা বলে আসছেন, চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় সবজির দাম চড়া। যোগান বাড়লে দাম কিছুটা হলেও কমবে। পক্ষান্তরে যোগানের অযুহাতে মধ্যস্বত্বভোগী ও ব্যবসায়ীরা সবজির দাম বেশি নিচ্ছেন বলে মনে করছেন ভোক্তারা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনৈতিক মুনাফা করা ব্যবসায়ী ও আন্তর্জাতিক বাজার দরের দোহাই দিয়ে অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ালে শাস্তি পেতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।

এমকে

 

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর