ভোটে হেরে সাঁকো ভাঙল প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা!

১৪ নভেম্বর ২০২১

দীপক সরকার, বগুড়া:

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চরবেলগাছী গ্রামে খালের একটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেয়ায় সাধারণ সদস্য পদে পরাজিত এক প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। নির্বাচনের পরের দিনে শুক্রবার গভীর রাতে সাঁকাটি ভাঙা হয়। সাঁকোটি দিয়ে চরকল্যাণী, চরবেলগাছী, চরবিনোদপুর ও বেলগাছী মিলে চার গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতেন।

এদিকে সাঁকোটি ভেঙে দেয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে এসব গ্রামের সহজ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরে যেতে গ্রামবাসীদের অন্তত পাঁচ কিলোমিটার ঘুরতে হচ্ছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। নিজের চাঁদায় তৈরি সাঁকোটি ভেঙে দেয়ায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মঝে। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

১১ নভেম্বর এ ইউনিয়নে ভোট হয়। নির্বাচনে এক নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার পদে আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু (টিউবওয়েল প্রতীক) ও নুরুন্নবী মন্ডল হিটলার (মোরগ প্রতীক) অংশ নেন। এর মধ্যে আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু পরাজিত হন।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বাছেদ, আবু সালেম, আব্দুস সোবাহান জানান, ভোটে হেরে গিয়ে রঞ্জুর কর্মী-সমর্থকরা সাঁকোটি ভেঙে দিয়েছে। তারা জানান, বাঙালী নদীর ওপর বেলগাছী নামক স্থানে ব্রিজ আছে। এ ব্রিজে যাওয়ার জন্য বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করা হয়।

আবু সাঈদ খাঁন রঞ্জু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি ও আমার কোনো কর্মী-সমর্থক জড়িত নই। ভোট না দেয়ার কারণে মানুষের যাতায়াতের সাঁকোটি ভেঙে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য নুরনবী মন্ডল হিটলার বলেন, কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াতের সুবিধার্থে চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেন। কিন্তু নির্বাচনী জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে সেটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর