দ্বিধাদ্বন্দ্বে বিনিয়োগকারীরা

১৮ নভেম্বর ২০২১

সম্প্রতি পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্জিন ঋণ সুবিধা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃপক্ষ। এতে পুঁজিবাজার উত্থানে ফিরলেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে, বিনিয়োগ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন তারা। কারণ, বাজারে পতন ঘটলে এ ঋণ তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে। আর এ কারণেই বিএসইস’র দেয়া এ সুবিধাকে কেউ কেউ  ভালো চোখে দেখলেও ভয়ও পাচ্ছেন অনেকেই।   

ভয় পাওয়াদের অভিমত, বাজার পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এ সুবিধায় নেয়া ঋণ  বিনিয়োগ করলে  আরো ভারী হবে ঋণের বোঝা।  এদিকে এ সুবিধা বাড়ানোর খবরে এক দিনের ব্যবধানে গত মঙ্গলবার মূল্যসূচক বেড়েছে ১১৫ পয়েন্ট। সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির সঙ্গে বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা।  ঊর্ধ্বমুখী ছিল বুধবারের বাজার দর।

মার্জিন ঋণ সুবিধা বাড়ানো সংক্রান্ত নির্দেশনা গত সোমবার জারি করে বিএসইসি। নির্দেশনা অনুযায়ী, মূল্যসূচক যা-ই হোক না কেন সব ক্ষেত্রেই নিজেদের টাকার বিপরীতে ৮০ শতাংশ মার্জিনের সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীরা। আর তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের মূল্য অনুপাত ৪০-এর বেশি না হওয়া পর্যন্ত সিকিউরিটিজে ৮০ শতাংশ পাবে মার্জিন ঋণ।

জানা গেছে, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে বড় ধরণের ক্ষতিগ্রস্তদের বেশিরভাগ ছিলেন মার্জিন ঋণধারী বিনিয়োগকারী। ধসের মধ্যে সব শেয়ার বিক্রি করেও ঋণের টাকাই দিতে পারেননি অনেকে। বাধ্য হয়ে নিজের পকেট থেকে ঋণ শোধ করেছেন তারা। এমনকি ঋণের চাপে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, ঋণ নেয়ার বিষয়টি পুরোটাই নির্ভর করে বিনিয়োগকারীদের ওপর। ঋণে ঝুঁকি থাকবে- এটাই স্বাভাবিক বিষয়। তবে ঋণ নেয়ার ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।  যুক্তি হিসাবে বলছেন, মার্জিন ঋণ যত কম নেয়া যায়, ততই ভালো। এ ঋণ বিনিয়োগ করতে হয় মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারে। এতে কম থাকে ক্ষতির আশঙ্কা।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর