ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের উগ্রবাদী কর্মসূচি দেশটির শান্তির জন্য বড় হুমকি বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
সম্প্রতি ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর গণহত্যা চালানোর ব্যাপারে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের একটি সম্মেলন থেকে আহ্বান জানানো হয়। বিষয়টিতে নরেন্দ্র মোদি সরকার একবারে নীরবতা পালন করছে। যেন মৌন সমর্থন। ভারত সরকারের এই নীরবতা পর্যবেক্ষণের পর ইমরান খান নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে এসব অভিযোগ করলেন।
গত ডিসেম্বর মাসে ভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার শহরে তিন দিনের একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণকার নেতারা ভারতের মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার এবং গণহত্যা চালানোর আহ্বান জানান। এর বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে নিন্দা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। উগ্রবাদী এসব লোকের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানানো হয়। তবে নরেন্দ্র মোদি সরকার এ ব্যাপারে কোনো ভূমিকা নেয়নি।
ওই সম্মেলনে এক বক্তার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হওয়ার পর দেখা গেছে- তিনি বলছেন যে, “মুসলমান হত্যার জন্য কাউকে কারাগারে যাওয়ার চিন্তা করতে হবে না।”
একজন নারী বক্তা তিনদিনের ওই সম্মেলনে বলেছেন, “আমাদের মধ্য থেকে যদি ১০০ জন সেনা হয়ে ওঠে এবং ২০ লাখ মুসলমান হত্যা করে, তখন আমরা হব বিজয়ী। যদি আপনারা এই মনোভাব নিয়ে উঠে দাঁড়ান। তখনই শুধুমাত্র আমরা পরিপূর্ণ হিন্দুত্ববাদী ধর্মকে রক্ষা করতে পারব।”
এমন ধরনের উগ্রবাদী বক্তব্য দেয়ার পরেও নরেন্দ্র মোদি নীরব রয়েছেন। পুলিশও হাস্যকরভাবে প্রমাণের অভাবে সম্মেলনের উগ্রবাদী বক্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
ভারত সরকারের নিরাপত্তা সম্পর্কে ইমরান খান বলেন, ‘এ ব্যাপারে মোদি সরকারের এমন নীরব থাকা প্রশ্ন তুলছে- মুসলিম হত্যার আহ্বানের প্রতি বিজেপি সরকারের সমর্থন রয়েছে কিনা।’
আরআই