বগুড়ায় সহযোগীসহ ব্যারিস্টার পরিচয়দাতা গ্রেফতার

২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বগুড়া প্রতিনিধি:

বগুড়ার শেরপুরে মোজাম্মেল হক ওরফে রানা (৩৫) ও  আবু বকর সিদ্দিক ওরফে রাজু মন্ডল (৩৪) নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে অভিযোগ ছিল- তাদের একজন ব্যারিস্টার ও অপরজন তার সহযোগী পরিচয় দিয়ে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি ও মামলায় জিতিয়ে দেওয়াসহ নানা কৌশলে  মানুষের কাছে থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতো। ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের ধাওয়াপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মোজাম্মেল হক ওরফে রানা নাটোরের সিংড়া উপজেলার সোয়াইড বালালপাড়া গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে  ও আবু বকর সিদ্দিক ওরফে রাজু মন্ডল (৩৪)শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।  এর মধ্যে মোজাম্মেল হক নিজেকে হাইকোর্টের ব্যারিস্টার আর রাজুকে তার সহযোগী পরিচয় দিত। তাদের বিরুদ্ধে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে শেরপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের ধাওয়াপাড়া গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে রুবেল হাসান বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে মোজাম্মেল হক ওরফে রানা ও রাজু মন্ডলের সঙ্গে পরিচয় ঘটে রুবেল হাসানের। এরই সূত্রধরে তার জমি-জমা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তারা দুজন। ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর মামলার খরচ বাবদ রুবেল হাসানের কাছে থেকে  দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় মোজাম্মেল হক রানা। পরবর্তীতে মামলার রায় পক্ষে নেওয়ার জন্য তার কাছ থেকে আরও এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এ ছাড়া একই কায়দায় পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তির নামে ধাওয়া গ্রামের ফারুক হোসেনের কাছে থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ও জায়গা-জমির কাগজপত্র ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে চল্লিশ হাজার টাকা নেয়।

রুবেল হাসান জানান, ওই দুই ব্যক্তির কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই। একপর্যায়ে তাদের কর্মকান্ডে সন্দেহ হয়। পরে তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে ঢাকায় হাইকোর্টে যাই। এরপর জানতে পারি- মোজাম্মেল হক আইনজীবি বা ব্যারিস্টার কিছুই নয়। মূলত প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। আর সহযোগী হলেন রাজু মন্ডল। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ন্যায় বিচারের পেতে থানায় মামলা করেন।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে বগুড়ায় আদালতে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া  চলছে।

দীপক কুমার সরকার/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর