কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

১৯ নভেম্বর ২০২১

গত আড়াই মাস ধরে অনেকটাই ধারাবাহিকভাবে কমছে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ (রেমিট্যান্স)। পহেলা সেপ্টেম্বরে থাকা ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি এ মূদ্রার রিজার্ভ এখন দাঁড়িয়েছে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে। সেই হিসাবে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার।

নিত্যপণ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আমদানি ব্যয় বাড়লেও  কমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এ কারণে ডলারের ওপর চাপ বাড়ায় চাপ পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্য মিলেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে। বৃহস্পতিবার  প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়। আর চাপটি পড়ার বিষয় জানিয়েছে অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বলছে, অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো  বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থাকতে হয় একটি দেশে। সে অনুযায়ী রিজার্ভ নিয়ে এখানো দুশ্চিন্তা করা মতো কিছু হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ হিসেবে বলছেন, তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ এখনো আছে। ৪৪ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ দেশের অর্থনীতি শক্তিশালীর  ইঙ্গিতই বহন করে। এদিকে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলার হবে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২৪ আগস্ট দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। ৮ সেপ্টেম্বরে এটা দাঁড়ায় ৪৬ বিলিয়ন ডলারে। আর ১৭ নভেম্বর সেটা কমে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে,   সময়ের তুলনায় গত বছরের সেপ্টেম্বর চেয়ে এ বছরের সেপ্টেম্বরে ৫০ দশমিক ৩৯ শতাংশ আমদানি বেড়েছে। আর আগের বছরের চেয়ে চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে এ ব্যয় বেড়েছে ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। পক্ষান্তরে হিসাব বলছে, গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সব মিলে ৭০৫ কোটি ৫১ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অথচ আগের বছরে এ সময়ে পাঠিয়েছিলেন ৮৮১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার।

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর