শেষ ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতা। বড় সংগ্রহ পায়নি মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। ১২৫ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়েও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে। জয়ের বন্দরে প্রায় নোঙর করেছিল। কিন্তু জয় পাওয়া হলো না। শেষের নাটকীয়তায় সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারালো পাকিস্তান।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ রান। বোলার ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ ওভারের প্রথম বল ডট দেন। পরের দুই বলে আউট করেন সরফরাজ আহমেদ ও হায়দার আলীকে। জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু পরের ওভারেই ছক্কা হাঁকান ইফতেখার। ম্যাচের ফলাফল ঘুরে যায় পাকিস্তানের পক্ষে। পরের বলে আবার উইকেট তুলে নেন টাইগার ক্যাপ্টেন। এমন পরিস্থিতিতে শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। জয়ের স্বপ্নে ভাসছিল লাল-সবুজের পতাকাধারীরা। কিন্তু শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভাঙেন নেওয়াজ।
ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ তে বাংলাদেশকে হারাল পাকিস্তান।
সোমবার মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জেতে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদুল্লাহ। উদ্দেশ্য পাকিস্তানের সামনে বড় লক্ষ্য দাঁড় করানো। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় তা হয়ে ওঠেনি। মাত্র ১২৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকে। ৫০ বলে ২ চার ও ২ ছয়ের মারে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। এছাড়া শান্ত ৫, শামীম ২২, আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সোহান ৪, মেহেদী ৫ ও আমিনুল ৩ রান করেন।
পাকিস্তানের দাহানি ১টি, ওয়াসিম জুনিয়র ২টি, রউফ ১টি ও কাদির ২টি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট রতে নেমে ধীর গতিতে এগোতে থাকে অতিথিরা। দলীয় ৩২ রানের মাথায় প্রথম পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার বোলাররা। এরপর সতর্কভাবে ব্যাট করতে থাকে। ১৫.১ ওভারে আরেকটি উইকেট তুলে নেয় মাহমুদুল্লাহরা। দলীয় রান তখন ৮৩। জয়ের জন্য আরো দরকার ছিল ৪২ রান। হাতে ছিল ২৯টি বল। টাইগারদের বোলিং তোপে মন্থর গতিতে এগোতে থাকে।
শেষ ওভারে তখন দরকার ছিল ৮ রান। বোলিং প্রান্তে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। প্রথম বল ডট দেন। পরের দুই বলে আউট করেন সরফরাজ আহমেদ ও হায়দার আলীকে। তার পরের বলেই ছক্কা হাঁকান ইফতেখার। তবুও সাহস হারাননি বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন। পরের বলে আরেকটি উইকেট তুলে নেন। এমন পরিস্থিতিতে শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। জয়ের স্বপ্নে ভাসছিল লাল-সবুজের পতাকাধারীরা। কিন্তু শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভাঙেন নেওয়াজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১২৪/৭ (নাঈম ৪৭, শান্ত ৫, শামীম ২২, আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সোহান ৪, মেহেদী ৫, আমিনুল ৩; দাহানি ৩-০-২৪-১, ওয়াসিম জুনিয়র ৪-০-১৫-২, রউফ ৪-০-০০-১, কাদির ৪-০-৩৫-২)।
পাকিস্তান : ২০ ওভারে ১২৭/৫ (রিজওয়ান ৪০, বাবর ১৯, হায়দার ৪৫, সরফরাজ ৬, ইফতেখার ৬, নেওয়াজ ৪, খুশদিল ০, (নাসুম ৪-০-২০-০, আমিনুল ৪-০-২৬-১, তাসকিন, শহিদুল, মেহেদী ৪-০-১৯-০)।
ফল : ৫ উইকেটে জয়ী পাকিস্তান।
সিরিজ : ৩-০ ব্যবধানে জয়ী পাকিস্তান।
আরআই