সরকারের গুদামে মজুত এখন ১২ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন (২৩ নভেম্বর পর্যন্ত )। এরই মধ্যে কৃষকের গোলায় ওঠছে আমন ধান। সরকারি সিদ্ধান্তে আমদানিও হয়েছে, আরো আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। দাম কমেছে আন্তর্জাতিক বাজারেও। তারপরও দেশের বাজারে কমছে না, বরং দেড়-দুই টাকা বেড়েছে। জ্বালানির (ডিজেল) দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। এ কারণেই দাম কমছে না চালের, বলছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, পরিবহন খরচ না বাড়লে মৌসুমের এ সময় পাইকারি ও মিলে কেজিতে অন্তত পঞ্চাশ পয়সা কমতো চালের দাম।
এদিকে বর্তমানে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আগের তুলনায় বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আয় আগের মতোই থাকায় এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। ফলে অসন্তোষ বিরাজ করছে দাম নিয়ে।
ব্যবসায়ীদের হিসাবে, চাল পরিবহনে খরচ বেড়েছে ২৮ শতাংশের মতো। রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে চাল আনতে আগের চেয়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে ট্রাকপ্রতি। এর প্রভাবে খোলা বাজারে সব মানের চালের দাম বেড়েছে। দাম কমার কোনো সম্ভাবনা আপাতত দেখছেন না ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর খুচরা বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট ও সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৬০-৬৫ টাকা, আঠাশ ৪৫-৫০ টাকা, কাজল লতা ও পাইজাম ৫২-৫৪ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৪২-৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির হিসাবে, গত বছরের এ সময়ের তুলনায় বর্তমানে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে মিনিকেট ও নাজিরশাইলসহ সব সরু চালের দাম। বর্তমানে কেজি প্রতি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৬৮ টাকা, গত বছর বিক্রি হয়েছে ৫৪-৬২ টাকা দরে। মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮ টাকা দরে।
চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) সব মিলে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে ৪১৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। গত ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি হয়েছে ১০ লাখ ৬৫ হাজার টন চাল। এ তথ্য পাওয়া গেছে খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে।
এমকে