আজ রোববার (২৮ নভেম্বর) ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে ৯৮৬ ইউনিয়ন পরিষদ ও নয় পৌরসভার নির্বাচন। সকাল আটটা থেকে বিরতি না দিয়ে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোট নেয়া হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আগের দিনেই সাবির্ক প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তৃতীয় ধাপে এসব ইউপি ও পৌরসভাসহ মোট এক হাজার ইউপির তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয় পাওয়ায় ১৪ ইউপির ভোট হচ্ছে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন একশ’ জন চেয়ারম্যানসহ ৫৬৯ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য। দলীয় প্রতিকের এ নির্বাচনে বরাবরের মতোই এ ধাপেও দলীয়ভাবে অংশ নেয়নি বিএনপি।
ইসির তথ্যানুযায়ী, এ ধাপে ৩৩টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ও বাকি ৯৫৩টিতে কাগজের ব্যালটে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে ৫০ হাজার ১৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৪ হাজার ৪০৯ জন, সংরক্ষিত সদস্য ১১ হাজার ১০৫ ও সাধারণ সদস্য ৩৪ হাজার ৬৩২ জন। ভোটার রয়েছেন ২ কোটি ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৮ জন। ভোট হচ্ছে না চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ১৪ ইউপিতে। সেখানে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা জয় পেয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পাওয়া চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত। তিন ধাপের মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জনপ্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন এ ধাপেই।
ইসির তথ্য বলছে, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের পাহারায় রয়েছেন পাঁচজন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য। ভোট উপলক্ষ্যে শনিবারই নির্বাচনি এলাকায় মাঠে নেমেছেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশের একটি মোবাইল ফোর্স ও প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে।
এ ধাপে ৬২ জেলার ১২২ উপজেলায় ভোট হচ্ছে। এসব উপজেলায় আলাদাভাবে নামানো হয়েছে র্যাবের দুটি মোবাইল ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং বিজিবির দুই প্লাটুন মোবাইল ও এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স। এছাড়া উপকূলীয় জেলাগুলোয় দুই প্লাটুন মোবাইল ও এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী ২১ জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে তৃতীয় ধাপের ভোট সুষ্ঠু হবে বলেই আশা করছে ইসি। ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভোট ঘিরে এ মুহূর্তে কোনো আশঙ্কা নেই। এ নির্বাচনে ডোর টু ডোর, বাড়ি-বাড়ি ও পাড়ায়-পাড়ায় প্রতিযোগিতা হওয়ায় যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া আছে।
এমকে