ফের স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ

২৯ নভেম্বর ২০২১

বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন’। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেলটার চেয়েও অধিকতর সংক্রামক এ ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিরোধের জন্য ঘরের বাইরে সব ক্ষেত্রে করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার তাগিদ দেয়া হয়েছে সবাইকে। একই সঙ্গে মেনে চলতে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশনা ও পরামর্শ।  রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে এসব নির্দেশনা ও পরামর্শ দেয়া হয় সংশ্লিষ্টদের।

দক্ষিণ আফ্রিকার এ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে চিন্তিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যারিয়েন্টটি সম্পর্কে রীতিমতো সতর্কও করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়কে। যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা এবং লেসোথোর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নির্দেশনাগুলো হলো- সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে। প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে গেলে প্রত্যেককে সব সময় সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ করোনা সম্পর্কিত অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। রেস্তোরাঁতে খাদ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম ক্রেতার বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সব ধরনের জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা-থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি) স্বল্প সংখ্যক লোক অংশগ্রহণ করতে পারবে। মসজিদসহ সব উপাসনালয়, সব গণপরিবহন, সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টারে নিশ্চিত করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সেবাগ্রহিতা, সেবা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। অফিসে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন বাধ্যতামূলক নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে।

 সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন সময়ে ঘোষিত অন্যান্য আক্রান্ত দেশ থেকে আগত যাত্রীদের বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে। এ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়া দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।  করোনা উপসর্গ বা লক্ষণযুক্ত সন্দেহজনক ও নিশ্চিত রোগীকে আইসোলেশন ও করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া পরামর্শ হিসেবে বলা হয়েছে- করোনা রোগের লক্ষণ থাকা ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা এবং তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সহায়তা করা যেতে পারে।  এ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাস করতে কমিউনিটি পর্যায়ে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং ও প্রচারণা চালানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মসজিদ,মন্দির,গির্জা,প্যাগোডা’র মাইক ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।

এমকে

 

 

 

   


মন্তব্য
জেলার খবর