বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৮ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। পাঁচ দিন টেস্টের শেষ দিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৯৩ রান। মাত্র ২ উইকেট খরচ করে সে রান পূর্ণ করে অতিথিরা। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
টি-টোয়েন্টিতে চরম ব্যর্থতার পর টেস্টেও পারল না টাইগাররা। প্রথম সেশনে কিছুটা আশা জাগিয়েছিল। লিটন-মুশফিকের ব্যাটিং নৈপূন্যে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল। বোলিংও বেশ ভালো করেছিল। পাকিস্তানকে কম রানে বেঁধেও ফেলেছিল। কিন্তু পরের সেশনে সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা। তবুও পাকিস্তানকে ২০২ লক্ষ্য ছুড়ে দিতে সক্ষম হয়ছিল মুমিনুল বাহিনী। বোলিং ব্যর্থতায় তা কাজে আসেনি।
টেস্টের শেষ দিনের প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। দুই ইনিংসে দুর্দান্ত খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার আবিদ আলী। প্রথম ইনিংসে করেন সেঞ্চুরি। পরের সেশনে ৯১ দুর্দান্ত একটি ইনিংস উপহার দেন।
টেস্টের চতুর্থ দিন অতিথিদের ২০২ রানের লক্ষ্য দিতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। প্রথম সেশনে ভালো ব্যাট করতে না পারা পাকিস্তান এ সেশনে ঘুরে দাঁড়ায়। চতুর্থ দিন খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করে দুই ওপেনার।
পাকিস্তানের এ জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার আগে ১৫১ রান আসে এ জুটি থেকে। ১৭১ রানে আরেক ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান তাইজুল ইসলাম। এরপর আর কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। ফলে ৮ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায় তারা।
স্কোরকার্ড:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৩০
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৮৬
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস : ১৫৭ ( সাদমান ১, সাইফ ১৮, নাজমুল ০, মুমিনুল ০, মুশফিক ১৬, ইয়াসির আহত অবসর ৩৬, লিটন ৫৯, মিরাজ ১১, সোহান ১৫, তাইজুল ০, আবু জায়েদ ০, ইবাদত ০*; আফ্রিদি ১৫-৮-৩২-৫, হাসান ১১-০-৫২-২, ফাহিম ৮-৩-১৬-০, নুমান ৯-৩-২৩-০, সাজিদ ১৩.২-১-৩৩-৩)।
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস : ২০৩/২ (আবিদ ৯১, শফিক ৭৩, আজহার ২৪ ও বাবর ১৩ ; তাইজুল ২৮-৪-৮৯-১, ইবাদত ৯-২-৩০-০, রাহি ৪-০-২৩-০, মিরাজ ১৮.৩.-৪-৫৯-১)।
ফল : আট উইকেটে জয়ী পাকিস্তান।
সিরিজ : ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।