লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

নিজেকে বিপুল ভোটে জয়ী দাবি করে ভোটের ফল পরিবর্তনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। সোমবার রাতে তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় তিনি নৌকা প্রতীকে সীল মারা কিছু ব্যালট দেখান। তার দাবি, ব্যালটগুলো ভোটকেন্দ্রের টয়লেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি এ ইউনিয়নে পুনঃভোট দাবি করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

অপরদিকে ওই ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহাবুবর রহমানের দাবি, প্রতিপক্ষ নৌকার ভোট কমাতে গণনার সময় ব্যালটগুলো চুরি করে বাইরে ফেলে দিয়েছে। এ কারনণে তার ভোট সংখ্যা কম হয়েছে। 

রোববার (২৮ নভেম্বর) এ ইউপির ভোট হয়। তারা উভয়েই ৯ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে সমান অবস্থানে রয়েছেন। ফলে এ ইউপির  নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নৌকার কর্মী-সমর্থকরা নৌকায় সীল মারা কিছু ব্যালট গোসাইরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের টয়লেটে ফেলে দেন। সোমবার সকালে স্থানীয়রা ২০টি ব্যালট উদ্ধার করে, পরে সেগুলো আমার কাছে আসে। ভোট বাক্সে রাখার সময় না পেয়ে ব্যালটগুলো ফেলে দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তাকে পরাজিত করতেই গণনার সময় এসব ব্যালট যোগ করা হয়। নৌকার ভোট বাড়িয়ে সমান অবস্থানের ফলাফল তৈরির মাধ্যমে ফলাফল স্থগিত করা হয়।

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাহাবুবর রহমান বলেন, স্থানীয় সমর্থকদের মাধ্যমে নৌকায় সিল মারা ব্যালটের বিষয়ে শুনেছি। এসব ব্যালট তাদের কাছে কেন? এটা তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্ধার করার কথা। তারা নৌকার ভোট কমাতে এসব ব্যালট চুরি করেছেন। তাদের কাছে থাকা ব্যালটগুলো উদ্ধার করে গণনায় সম্পৃক্ত করতে প্রশাসনকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছি। আমি লিখিত অভিযোগ দেবো এ বিষয়ে।  

লাজু মিয়া/এমকে