বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করার পর করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়। তাই করোনার প্রথম ঢেউয়ের মতো কোনোভাবেই ওমিক্রনের বিষয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না সরকার। এ জন্য আগে থেকেই জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে, প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণে চলছে বৈঠক। ঝুঁকি এড়াতে আফ্রিকার দেশ থেকে প্রবাসীদের দেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করছে সরকার। মঙ্গলবার ওমিক্রন নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক নিজেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আফ্রিকা অঞ্চলের আক্রান্ত দেশগুলো থেকে কেউ এলেই দেশে তাকে সেনা সদস্যদের সহায়তায় বাধ্যতামূলক ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে সেই দেশে কী রকম আক্রান্ত হয়েছে- দেখে একই রকম ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতালি থেকে আগত যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে প্রথম করোনা এসেছিল জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবার আর সেই ঝুঁকিতে যাওয়া যাবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, কোয়ারেন্টিনে থাকাকালে হোটেলের বেশিরভাগ খরচ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দিতে হবে। একেবারেই কেউ অসমর্থ হলে সেটা বিবেচনা করা হবে। একশ’টির মতো হোটেলে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা থাকবে। প্রাতিষ্ঠানিক এই কোয়ারেন্টিন দিয়াবাড়িতে হতে পারে।
এদিকে সভায় সব ধরনের সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সব কার্যক্রম পালনে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এমকে