রেমিট্যান্সে ধাক্কা

০২ ডিসেম্বর ২০২১

টানা ছয় মাস ধরে দেশে ধারাবাহিকভাবে কমছে প্রবাসী আয়- রেমিট্যান্স। গেল নভেম্বরের এ আয় নেমে এসেছে দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। করোনার বিধিনিষেধ শিথিলের পর অবৈধ চ্যানেলগুলোয় ( হুন্ডি) অর্থ লেনদেন বৃদ্ধি, করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতে চাকরিচ্যুতির ঘটনা বেড়ে যাওয়া ও পরিস্থিতির উন্নতি পরবর্তীতে কর্ম সঙ্কটকে এ জন্য দায়ী করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে রেমিট্যান্সের পাশাপাশি কমেছে রপ্তানি, আর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বেড়েছে আমদানি ব্যয়। ফলে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারেই গেল রোববার  ডলারের দর বেড়ে ৮৫ টাকা ৭০ পয়সায় উঠেছে। রেমিট্যান্স আয়ে ধাক্কা লাগার তথ্য ওঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে, প্রকাশ হয় বুধবার।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গেল নভেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ (১.৫৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। তুলনায় শতাংশের হিসাবে এটা গত বছররের নভেম্বরের চেয়ে ২৫ কম, টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা কম। গত বছরের নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। এর আগে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের মে মাসে- ১৫০ কোটি ডলার ।

তথ্য বলছে, আগের অর্থবছরের পাঁচ মাসের (জুলাই-নভেম্বর)  তুলনায় চলতি অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স কম এসেছে ২১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের এ সময়ে এসেছে ৮৬০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৭৩ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। আগের বছরে এসেছিল এক হাজার ৮৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার ( বাংলাদেশে মূদ্রায় ৯২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা)। টাকার অঙ্কে ব্যবধান হিসাব করলে দাঁড়ায় ২২৮ কোটি ৫২ লাখ।  তবে এ বছরে কমলেও গত অর্থবছরের পুরো সময়ই  উল্লম্ফন ছিল রেমিট্যান্সের। আগের  সব রেকর্ড ছাড়িয়ে দুই হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

মাসিক গ্রাফ অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের পাঁচ মধ্যে অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ, আগস্টে ১৮১ কোটি, জুলাইয়ে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ ও জুনে ১৯৪ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

এমকে

 

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর