মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বারবার বিভিন্ন মহল থেকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ উঠেছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত করা এবং বসত-ঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ জন্য জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ মিলছে না।
অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সদ্য স্বাধীন হওয়া আফগানিস্তানও জাতিসংঘে পাচ্ছে না প্রতিনিধিত্বের সুযোগ। বর্তমানে দেশটিতে তালেবানের শাসন চলছে। তালেবানের বিপক্ষেও রয়েছে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ। তাই তাদেরও সহসা মিলছে না জাতিসংঘে প্রতনিধিত্বের সুযোগ।
জাতিসংঘে সহসাই প্রতিনিধিত্বের সুযোগ মেলছে না মিয়ানমার জান্তা ও আফগানিস্তানের তালেবানের নিয়োগ পাওয়া নতুন দূত। বুধবার জাতিসংঘের একটি কমিটি এই দুই দেশের নতুন কূটনীতির বিষয়ে স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, বাহামা, ভুটান, চিলি, নামিবিয়া, সিয়েরা লিওন ও সুইডেনের সমন্বয়ে গঠিত নয় সদস্যের জাতিসংঘের একটি কমিটি মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব কে করবে এর সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়। জাতিসংঘের সাধারণ সভায় আফগানিস্তানের তালেবান ও জান্তা সরকারের কোনো প্রতিনিধির উপস্থিতি আপাতত প্রত্যাশা করেন না বলে মত দেয় এ কমিটি।
বৈঠক শেষে ওই কমিটির প্যানেল চেয়ার ও জাতিসংঘে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আনা কারিন অ্যানেস্ট্রমও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ দুদেশকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের অনেক দেশ। ফলে জাতিসংঘে দেশ দুটির কোনো প্রতিনিধি অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে না।
আরআই