দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে চাল-আাটা-ময়দাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাধারণ ভোক্তাদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- কবে স্থিতিশীল আর ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে দাম। কারণ আগের দামের তুলনায় চড়া দামে এসব পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। দরিদ্রতো বটেই, নিম্ন ও মধ্যবিত্তদেরও সংসার চালাতে এখন নাভিশ্বাস ওঠছে। অনেকদিনেই হচ্ছে দাম কমার খবর দিতে পারেনি সরকারি বিপণন সংস্থা -টিসিবি, বরং দিয়েছে বৃদ্ধির খবর।
শুক্রবার ব্যবসায়ীদের দেয়া হিসাবে, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা ও মাঝারি চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১-২টাকা। ৪৮ টাকা মোটা চাল ৫০ টাকা আর ৫৬ টাকার মাঝারি চাল ৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সরু চালের দাম বেড়েছিল কেজিতে ২-৩ টাকা, সে দামই বিক্রি হচ্ছে এখন- ৭০ টাকা। টিসিবির তথ্য বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালে ১.০৯ শতাংশ ও মাঝারি মানের চালে ১.৬১ শতাংশ দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ।
ব্যবসায়ীদের হিসাবে, আগের সপ্তাহের ৪৫ টাকার খোলা ময়দা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা কেজি দরে। ৭৫০ টাকায় পাওয়া ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ টাকা দরে। প্রতিকেজি ১১০ টাকা দরের আমদানির রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। একই দরের তেজপাতা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
এদিকে বাজারে এখনও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে শীতের সবজি, কম সবজিই পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকা দরের নিচে। কেজির হিসেবে শিম ৬০-৭০ টাকা; শালগম, বরবটি, করলা, নতুন আলু, ঢেঁড়স ও পটল ৬০ টাকা; মাঝারি আকারের প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, সাধারণ আলু ২৫ -৩০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৪০ ও ৮০-১০০ টাকা দরে। নিত্যপণ্য পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচকলা প্রতি হালি ৩০- ৩৫ টাকা, শাকের আটির মধ্যে লালটা ১০-১৫ টাকা, মুলা ১০-১৫ টাকা ও পালং ২০- ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এমকে