পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক শ্রীলঙ্কান নাগরিককে পুড়িয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দলবদ্ধ নির্যাতনের শিকার হন তিনি। এতে মারা গেলে তাকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ওই নারী শ্রীলঙ্কার নাগরিক ছিলেন। এ ঘটনার মূলহোতাসহ অন্তত ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ ঘটনাকে ভয়ানক ও বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন। পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা যায়, ওই শ্রীলঙ্কান নাগরিককের নাম প্রিয়ান্তা কুমারা। পাকিস্তানের শিয়ালকোটের একটি কারখানায় ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করতেন।
এ ঘটনাকে পাকিস্তানের জন্য লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘আমি তদন্ত কার্যক্রম তদারক করছি। কোনোরকম ভুল করা যাবে না। যারা জড়িত, আইনের সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে সবার শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। গ্রেফতার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এ ঘটনাকে লজ্জাজনক ও নিন্দনীয় বলে আখ্যায়িত করেছে। এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, চিফ অব স্টাফ জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া প্রশাসনকে সবধরনের সহযোগিতা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।
পাঞ্জাবের বিশিষ্ট আলেম তাহির মেহমুদ আশরাফি ঘটনার পর আলেমদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে সংঘবদ্ধ নির্যাতনে হত্যার ঘটনাকে নিন্দনীয় উল্লেখ করে বলেছেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়েই ‘ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে।’
আরআই