ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এ বৃষ্টিতে বেশ খানিকটা কমে এসেছে তাপমাত্রা। বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টিপাত রোববার রাতেও অব্যাহত থাকবে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এদিকে জাওয়াদের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ( চট্রগ্রাম,কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা) দেয়া ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেতই বহাল রাখা হয়েছে। বহাল আছে নদী বন্দরগুলোতে দেয়া ১ নম্বর সতর্কতা সংকেতও। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। গভীর সাগরে বিচরণ করতে বারণ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে কিছুটা এগুচ্ছে। এটি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। জাওয়াদ এখন সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৭৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার, যা ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে । কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
অন্যদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটির প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং রংপুর বিভাগে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা থাকলেও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে রাতের তাপমাত্রা।
এমকে