লাজু মিয়া, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটে ৪ ব্যবসায়ীর মিলে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি ‘নগদ’ এর এককর্মী। বিটুবি দেয়ার কথা বলে এসব টাকা সংগ্রহ করেন তিনি। টাকা নেয়ার দীর্ঘ সময় পরেও ঘটনাটির সমাধান না হওয়ায় প্রতিকার চেয়ে থানা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগদের জেলা ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজারও। গত ৭ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম মীর এরশাদুল হক। নগদে তার পদবি ডি.এস.ও।
এদিকে এ টাকার ফায়সালার জন্য ভুক্তভোগীরা রোববার নগদ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের ম্যানেজারে কাছে আসে। এসময় উভয়ের মধ্যে হট্রগোলের সম্ভাবনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম, আফজাল হোসেনসহ উপস্থিত ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের বলেন, দোকান থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই আমাদের সংসার চলে। কিন্তু টাকাগুলো এভাবে ডিএসও রেখে দেয়ায় দোকান বন্ধ রয়েছে। আয় না থাকায় খুব কষ্টে আছি আমরা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন মীর এরশাদুল হক তাদের কাছে যায়। এরপর বিটুবির জন্য টাকা নেয়। তাৎক্ষণিক বিটুবি না করে পরে দেবে বলে জানায়। কিন্তু পরে না দিলে তারা অফিসে যোগাযোগ করেন। পরের দিনও টাকা না পাওয়ায় ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন তারা। ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার তাদের বলেন, ডিএসও এর মা অসুস্থ। অফিসে আসলে দেয়া হবে। কিন্তু কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও টাকা পাননি তারা। অভিযুক্তের ব্যবহৃত নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে। হতাশাগ্রস্থ এসব ব্যবসায়ী এ টাকার জন্য ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে বারবার ধর্ণা দিচ্ছেন, কিন্তু টাকা পাচ্ছেন না।
ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার এরশাদুল জানান, ডিএসও এরশাদুল ওই দিন সকালে মার্কেটিংয়ে গিয়ে আর ফেরেনি। দুপুরে ফোন দিলে তার মায়ের অসুস্থতার কথা জানায়, সন্ধ্যায়ও অফিসে না ফিরে হিসাব গ্রুপে দিয়ে দেন। পরের দিন থেকেই তার ব্যবহৃত সব নাম্বার বন্ধ। এরশাদুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। লালমনিরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমকে