ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ নিম্নচাপে পরিণত হলেও দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। এ বৃষ্টি সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সারাদিনই অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে জাওয়াদ গভীর নিম্নচাপ থেকে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উপকূলের দিকে কিছুটা এগিয়েছে। জাওয়াদের প্রভাবে শনিবার থেকে এ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবাণীতে জানানো হয়েছে, পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপের প্রভাবে এ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখছে অধিদফতর।
এদিকে নিম্নচাপটির কারণে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরকে (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা) দেয়া আগের ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এখনো বহাল রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। বহাল আছে নৌবন্দরগুলোর জন্য দেয়া ১ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেতও।
সবশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তর পূর্বদিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে এখনো আগের এলাকাতেই আছে- উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। রোববার রাতে এটি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম থেকে ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তর পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হচ্ছে।
অন্যদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর আইএমডি জানায়, নিম্নচাপটি সকালে ভারতের প্যারাদ্বীপ থেকে ৭০, চাঁদবালি থেকে ৬৫ এবং দিঘা থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
এমকে